ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে বিয়ের প্রলোভনে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে আলোচিত ফেসবুক ও ইউটিউবের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ইসমাইল হোসেন (৩৫)কে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) সকালে হালুয়াঘাট থানা পুলিশ তাকে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত মঙ্গলবার (৯ জুলাই) সকালে ভুক্তভোগী ওই কিশোরীর মা বাদি হয়ে হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে পশ্চিম কায়লানীকান্দা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হালুয়াঘাট থানার উপ-পুলিশ পরির্দশক সাইদুজ্জামান সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সের সহযোগিতায় ইসমাইলকে গ্রেফতার করেন। গ্রেফতারকৃত ইসমাইল হালুয়াঘাট সদর ইউনিয়নের পশ্চিম কায়লানীকান্দা গ্রামের মোঃ সুরুজ আলীর পুত্র।
অভিযোগে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী বাড়িতে যাতায়াত ছিল ইসমাইলের। গত ৫/৬ মাস আগে ইসমাইল ওই কিশোরীর বাড়িতে এসে তাকে প্রেম ও বিয়ের প্রস্তাব দেন। একপর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে ওই কিশোরীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন।
বিষয়টি পরে জেনেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ওই কিশোরীর মা। ওই কিশোরীর মাকে রাজি করিয়ে তার মেয়েকে বাড়িতে কাজের লোক হিসেবে নিয়ে আসেন ইসমাইল। সেখানেও তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি।
এ সময় মেয়েটি ইসমাইলকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে ইসমাইল রাজি না হওয়ায় সে তার মাকে সব ঘটনা খুলে বলে। বিষয়টি নিয়ে ওই কিশোরীর মা আত্মীয়দের সঙ্গে কথা বলে এবং মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু সেখানে ইসমাইলের পক্ষ থেকে বিয়ের কোনো আশ্বাস না হালুয়াঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই কিশোরীর মা।
হালুয়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাহাবুবুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর ইসমাইলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে হালুয়াঘাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রুজু হয়েছে। সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।