সৌদি আরবের কারাগারে বন্দি দুই হাজার পাকিস্তানিকে অবিলম্বে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। পাকিস্তানি তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। খবর ডন অনলাইনের।
যুবরাজকে স্বাগত জানিয়ে রোববার রাতে প্রধানমন্ত্রীর ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন ইমরান খান। সেখানে এক বিশেষ অনুরোধে ইমরান খান যুবরাজকে বলেন, তিনি যে সেখানে অবস্থানরত পাকিস্তানী শ্রমিকদের প্রতি বিশেষ নজর রাখেন। তাদের যেন তিনি ‘নিজের দেশের লোকজনের’ মতো দেখেন।
ইমরান খান বলেন, সৌদি আরবে তিন হাজারের মতো পাকিস্তানি বন্দি রয়েছেন। তারা খুবই দরিদ্র। দেশে পরিবার-পরিজনকে ফেলে রেখে তারা কাজের খোঁজে সেখানে গিয়েছেন। যুবরাজ যেন তাদের বিষয়টি বিবেচনায় নেন।
এসময় যুবরাজ বলেন, সৌদি আরবে আমাকেই পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে বিবেচনা করবেন।
ইমরান খান বলেন, সৌদি আরবে প্রায় ২৫ লাখ পাকিস্তানি শ্রমিক রয়েছেন। তারা বর্তমানে দুর্ভোগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এসব শ্রমিকরা নিজেদের পরিবার সন্তানাদি ফেলে সৌদি আরবে কাজের খোঁজে যান। বছর কিংবা মাসের পর মাস তারা পরিবার থেকে দূরে থাকেন।
জবাবে এমবিএস নামে পরিচিত যুবরাজ বলেন, আমি পাকিস্তানকে না বলতে পারি না। যতটা সম্ভব তাদের জন্য কাজ করব।
আজ এক টুইটে ইমরান খান লিখেছেন, যুবরাজ নিজেকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত ঘোষণা করে পাকিস্তানীদের মন জয় করে নিয়েছেন। আমি সেখানে কর্মরত আমাদের আড়াই লাখ শ্রমিকের ব্যাপারে তার আন্তরিকতা চেয়েছিলাম।
এদিকে, আজই এক টুইটে পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফায়াদ চৌধুরী জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের অনুরোধের প্রেক্ষিতে যৌদি যুবরাজ সেদেশের জেলে বন্দি ২১০৭ জন পাকিস্তানীকে দ্রুত মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার দুই দিনের সফরে পাকিস্তানে গিয়েছেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান।