ময়মনসিংহের ভালুকায় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার অভিযোগে নিহতের স্বামী, শাশুড়ি, খালা শাশুড়ি ও দেবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত শাশুড়ি সুফিয়া আক্তারকে (৫৭) গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
বুধবার (৮ মে) সকালে নিহত হাজেরা খাতুনের বাবা হাছেন আলী মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৭-১৮ বছর আগে উপজেলার পশ্চিম পশ্চিমকাচিনা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আজহার আলীর ছেলে সোহেল রানার সাথে পালগাঁও গ্রামের হাছেন আলীর মেয়ে হাজেরা খাতুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তাদের সংসারে পারিবারিক কলহ লেগে থাকত। স্বামী সোহেল রানা তার ছোট ভাই দোয়েলের সাথে ঢাকায় বাসের হেলপারি করতেন। স্ত্রী হাজেরা খাতুন উপজেলার কাশর এলাকায় টিএম টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন। স্বামী-স্ত্রী পরস্পরকে পরকীয়া নিয়ে সন্দেহ করতেন। ধারণা করা হয়, পরকীয়া সন্দেহেই সোমবার (৬ মে) রাতের কোনো এক সময় সোহেল তার স্ত্রীকে ধারল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বাড়ির পাশের ধান ক্ষেতে ফেলে রাখেন। ঘটনা পর থেকেই পলাতক সোহেল।
এ হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা মেয়ে হাছেন আলী জামাইসহ চারজনকে আসামি করে মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার আসামিরা হলেন নিহতের স্বামী সোহেল রানা (৪০), তার শাশুড়ি সুফিয়া খাতুন (৫৭), দেবর দোয়েল মিয়া (৩৭) ও খালা শাশুড়ি মিনারা খাতুন (৬০)। তাদের সবার বাড়ি উপজেলা পশ্চিম কাচিনা গ্রামে।
ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) মো: শাহ্ আলম আকন্দ জানান, নিহতের বাবা চারজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নিহতের শাশুড়িকে গ্রেফতার করে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। নিহত হাজেরার সংসারের সকল বিষয়ে খালাশাশুড়ি মিনারা খাতুন সব সময় নাগ গলাতেন বলে তাকে আসামি করেছেন।
সোহেলাকে গ্রেফতার করতে পারলে এ হত্যার মূল রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।