স্টাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৫৪ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের সন্তান তথা নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার মো. খলিলুর রহমান। কমিটি ঘোষণার পর থেকে ক্যাম্পাসে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তাকে শুভেচ্ছা জানান। তবে সভাপতি মনোনীত হবার পর ঈদে প্রথমবারের মত নিজ এলাকায় আসলে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়ে বরণ করেন এবং সংক্ষিপ্ত পর্যায়ের মতবিনিময় ও পরিচিতি সভায় অংশ নেন।
এসময় কেন্দুয়া উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক এখতিয়ার, যুগ্ন-আহবায়ক আওয়াল মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মাহবুব আলম, শাফিম আহমেদ, মেহেদী, কেন্দুয়া পৌর ছাত্রলীগ ও কেন্দুয়া সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ অভ্যার্থনা জানায়। তারপর কেন্দুয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিকবৃন্দদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে কেন্দুয়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আসাদুল হক ভূইয়া এবং পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামূল হক ভূইয়ার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন খলিল।
উক্ত সৌজন্য সাক্ষাত শেষে নেত্রকোণা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল আওয়াল শাওন, সাধারন সম্পাদক সোবায়েল আহমেদ খান, সহ-সভাপতি রাকিব আহমেদ রাজিব, মীর ছোটনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের কর্মীরা খলিলকে অভ্যার্থনা জানায়। তারপর বিকালে জেলা আওয়ামীলের সাধারন সম্পাদক শামসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান এবং জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অসিত কুমার সজলের সাথে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে সাক্ষাৎ করতে যান খলিল।
সকল পর্যায়ের নের্তৃবৃন্দের সাথে সাক্ষাৎ শেষে একইদিন রাত ৮ টায় নেত্রকোনা সদরের এমপি আশরাফ আলী খান খসরু সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান শাবি ছাত্রলীগ সভাপতি খলিল। এমপির বাসায় গেলে তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান খসরু এমপি। এসময় ব্যাক্তিগত আলাপচারিতায় দুজনের মধ্যে সৌহার্দ্য বিনিময় হয় এবং ভবিষ্যতে নেত্রকোণা এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের উন্নয়নের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের এজেন্ডাসমূহ বাস্তবায়নে মাঠে থেকে ঐকবদ্ধ ভাবে কাজ করার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হয়।
এর আগে খলিল তার অনুস্বারী ও ছাত্রলীগের সদস্যদের গাড়ি বহর নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করছে রাস্তার দু পাশের স্থানীয় মানুষজন হাত নেড়ে তাকে শুভেচ্ছা জানান। বাজারগুলোতে স্থানীয়রা তার সাথে কোলাকুলি ও করমর্দন করে তাকে হৃদয়ে বরণ করে নেন। এসময় তাকে ফুলের মালা পড়িয়ে বরণ করে নেয়া হয়। গাড়িবহরে তার সাথে ময়মনসিংহের ত্রিশালের জাতীয় কবি কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি জাকির হাসান সৌরভ, ঢাকার মিরপুরের বাংলা কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি বিপ্লব মীর উজ্জ্বল তারাও উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য মো. খলিলুর রহমান ১৯৯৫ সালে নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলার শিবপুর গ্রামে মো.আব্দুল আউয়াল এবং মর্জিনা আক্তার দম্পতির ঘরে জন্মগ্রহণ করেন। তার তিনবোন রয়েছে, ভাইবোনের মধ্যে সে তৃতীয়। সে স্থানীয় বাঁশাটি উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০০৯ সালে মানবিক বিভাগ থেকে এসএসসি এবং ২০১১ সালে গৌরীপুর সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। এরপর শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক (২০১৮) এবং স্নাতকোত্তর (২০১৯) সম্পন্ন করে বর্তমানে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিপ্লোমা ইন কম্পিউটার সায়েন্সে অধ্যায়নরত আছেন এবং তিনি শাহপরান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
মেধাবী এই শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যুক্ত রয়েছেন এবং উচ্চমাধ্যমিকে পড়াকালীন সময় থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সক্রিয় ছিলেন। শাবি ছাত্রলীগের পূর্বের কমিটিতে তিনি পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন এবং বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোণা-৩ আসনের ছাত্রলীগের সমন্বয়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে সোনার বাংলা বিনির্মাণে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে নিজেকে উজাড় করে দিয়ে আওয়ামী লীগের পক্ষে সকল কর্মসূচীতে অংশ নেয়ার ইচ্ছার কথা জানান শাবি ছাত্রলীগ সভাপতি মো. খলিলুর রহমান।