সৌদি যুবরাজ (ক্রাউন প্রিন্স) মোহাম্মদ বিন সালমান ইংলিশ ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিনতে যাচ্ছেন। আর এ জন্য তিনি ৩৮০ কোটি পাউন্ড খরচ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বর্তমান মালিক যুক্তরাষ্ট্রের গ্লাজার পরিবার রাজি হলে আগামী মৌসুমেই ক্লাবটির নতুন মালিক বনে যেতে পারেন বিন সালমান। ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য সানের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গ্লাজার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, তারা ফুটবল ক্লাবটি বিক্রি না করার পক্ষে। কিন্তু সৌদি যুবরাজ যে দাম হাঁকিয়েছেন তাতে গ্লাজার পরিবার বিক্রিতে প্রলুব্ধও হতে পারে। কারণ প্রায় ১৪ বছর আগে মাত্র ৭৯ কোটি পাউন্ডে ক্লাবটি কিনেছিলেন তারা। আর যুবরাজের হাঁকানো দামে বিক্রি করলে তাদের লাভ হবে ২২০ কোটি পাউন্ড। তাছাড়া ইতোমধ্যে ক্লাবটির বেশ ধার-দেনাও হয়েছে।
গত বছরের অক্টোবরেই খবর শোনা যায় যে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিনে নিচ্ছেন বিন সালমান। কিন্তু সে সময় সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে নৃশংসভাবে হত্যার সাথে রাজপরিবার তথা বিন সালমানের নাম জড়িয়ে পড়ার পর ক্লাব কেনার খবর ঢাকা পড়ে যায়।
এমনকি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মালিক শীর্ষ ব্যবসায়ী আভরাম গ্লেজারও গত অক্টোবরে সৌদি আরবের একটি অর্থনৈতিক ফোরাম বর্জন করেন সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার কারণে।
সৌদি যুবরাজের ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মালিকানা নেয়ার আগ্রহের কারণ ম্যানচেস্টার সিটির সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বলে মনে করা হয়। কারণ ম্যানচেস্টার সিটির মালিক আরবের আরেক রাজপরিবারের সদস্য শেখ মানসুর। যিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপ-প্রধানমন্ত্রী।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান যখন কয়েক দিনের এশিয়া সফরে বেরিয়েছেন তখন এ ধরনের খবর বের হলো।
গতকাল রোববার একদিনের সফরে পাকিস্তান পৌঁছেন তিনি।
তবে এ ধরনের খবরের বিষয় অস্বীকার করেছে সৌদি আরব। আলজাজিরার খবরে প্রকাশ, দেশটির গণমাধ্যম মন্ত্রী তুর্কি আল-শাবানাহ টুইটারে লিখেছেন, ‘যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কিনছে বলে যে খবর বের হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা’।
তবে ওই মন্ত্রী এটা নিশ্চিত করেছেন যে, ক্লাবটির সাথে স্পন্সর সংশ্লিষ্ট আলোচনা হয়েছে।
২০১৭ সালে সৌদি ক্রীড়া কর্তৃপক্ষের সাথে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একটি ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ চুক্তি হওয়ার পর থেকে এ জল্পনার শুরু।