কাভার্ডভ্যান ও রিকশাচাপায় ময়মনসিংহের দুই স্কুল শিক্ষার্থী গাজীপুরের শ্রীপুরে নিহত হয়েছে। পুলিশ কভার্ডভ্যান চালককে আটক করেছে। নিহতরা হলো-ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার কুরচাই গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে রাহাত (৮) ও একই জেলার পাগলা থানার আমিনুল ইসলামের মেয়ে মাহিয়া আক্তার (৯)। তারা দু’জনই প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের মাওনা চৌরাস্তা ও মাওনা-বরমী সড়কের পল্লীবিদুৎ মোড় এলাকায় এ দুর্ঘটনা দু’টি ঘটে।
আটক কভার্ডভ্যানের চালক মো: ফারুক (৩০) কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানার নিমদারচর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কংকন কুমার বিশ্বাস ও স্থানীয়রা জানান, গাজীপুরের টঙ্গী এলাকায় স্ত্রী সন্তানসহ ভাড়া বাসায় থেকে এলাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন ময়মনসিংহের পাগলা থানার কুরচাই গ্রামের সাইফুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার সকালে শিশু সন্তান রাহাতকে (৮) নিয়ে তার স্ত্রী গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথে বাস থেকে মাওনা চৌরাস্তা উড়াল সেতুর নিচে নেমে মায়ের সাথে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পাড় হচ্ছিল। এ সময় একটি কভার্ডভ্যান চাপা দিলে রাহাত গুরুতর আহত হয়। হাইওয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রাহাতকে কর্তব্যরত মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় পুলিশ কভার্ডভ্যানের চালক মো: ফারুককে আটক করে।
এদিকে, একইদিন সকালে শ্রীপুরের মুলাইদ গ্রামের ভাড়া বাসা থেকে স্কুলে যাচ্ছিল মাহিয়া আক্তার (৯)। পথে পল্লী বিদুৎ মোড় এলাকায় মাওনা-বরমী আঞ্চলিক সড়ক পাড় হওয়ার সময় টেপিরবাড়িগামী ব্যাটারিচালিত একটি অটোরিকশা তাকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় সে। মাহিয়াকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিলে গেলে মাহিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। মাহিয়া স্থানীয় শ্যারস স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
শ্রীপুর থানার এসআই ইসমাইল হোসেন জানান, উভয় ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।