ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের পুলওয়ামায় বিদ্রোহীদের সাথে সংঘর্ষে এক মেজরসহ পাঁচজন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন বেসামরিক লোক রয়েছে।
গত রোববার রাতে বিদ্রোহীদের অবস্থান লক্ষ্য করে অভিযান চালায় সিআরপিএফ সদস্যরা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পিঙ্গলান এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়েছিল। রাতভর সন্ত্রাসীদের সাথে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এতে একজন মেজরসহ সিরআপিএফের চারজন সদস্য নিহত হয়। এছাড়া দুই পক্ষের গোলাগুলিতে একজন বেসামরিক লোকও নিহত হয়। তবে বিদ্রোহীদের কাউকে আটক বা হতাহত করার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এনডিটিভি জানায়, গোপন সূত্রে খবর পাওয়ার পর সিআরপিএফের জওয়ানরা ওই এলাকা ঘিরে ফেলে তল্লাশি চালাতে শুরু করে। এ সময় উভয় পক্ষ থেকেই গোলাগুলি চলতে থাকে। মাঝরাত পর্যন্ত এ গোলাগুলি চলে। এতে পাঁচজন নিহত হওয়া ছাড়াও সিআরপিএফের বেশ কিছু জওয়ান আটক হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিদ্রোহীদের আটক করতে ব্যর্থ হয় তারা।
পরে পুরো এলাকা ঘিরে রাখে নিরাপত্তাবাহিনী। এ দুই সন্ত্রাসী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও ওই এলাকায় আরো স্বাধীনতাকামী আত্মগোপন করে আছে বলে ধারণা করছে ভারত কর্তৃপক্ষ।
গত বৃহস্পতিবার যেখানে আত্মঘাতী হামলা হয়েছিল তার ছয় থেকে আট কিলোমিটারের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সেদিন পুলওয়ামায় ভয়াবহ আত্মঘাতী হামলায় সিআরপিএফ-এর কমপক্ষে ৪৪ সদস্য নিহত হয়েছিল। আহত হয়েছিল আরো ৮৫ জন জওয়ান। সন্ত্রাসী দল জয়েশ-ই-মোহাম্মদ এ হামলার দায় স্বীকার করে।
এরপর আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পাকিস্তানকে একঘরে করার প্রচেষ্টা চালানো হয় ভারতের পক্ষ থেকে। কিন্তু চীনের পদক্ষেপে তা ভণ্ডুল হয়ে যায়। এতে ব্যর্থ হয়ে ভারত কাশ্মীরের মুসলিম নেতাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উঠিয়ে নেয়। অন্যদিকে অর্থনৈতিকভাবে চাপে ফেলতে ভারতের সরকার পাকিস্তান থেকে আমদানি করা সমস্ত পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করার ঘোষণা দেয়। এছাড়া পাকিস্তানকে এমএফএন-এর সুবিধা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে।
ওই ঘটনার জেরে জন্মু ও কাশ্মিরে চতুর্থদিনের মতো আজো কারফিউ অব্যহত রয়েছে। সেখানে সহিংসতা বা সংঘাতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। তবে সেখানে উত্তেজনার ভাব বিরাজ করছে।
এদিকে ভারতের কনফেডারেশন অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্স (সিএআইটি) সোমবার ভারতজুড়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বন্ধ রেখেছে। পুলওয়ামার ঘটনায় নিহতদের পরিবারের সাথে সংহতি প্রকাশে তারা এ সিদ্ধান্ত নেয়। সূত্র : এনডিটিভি