বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের সন্তানদের নিয়ে দেশের ৮ বিভাগে সমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। একইসঙ্গে প্রস্তাবিত দুই বিভাগেও সমাবেশ করা হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ঢাকায় মহাসমাবেশ করার লক্ষ্য রয়েছে সংগঠনটির।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য শাজাহান খান এ ঘোষণা দেন। এসময় সংগঠনের অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে শাজাহান খান বলেন, ‘নির্বাচনের আগেই বিএনপি নতুন পদ্ধতিতে সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টির কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। তারা দেশে এক রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টির জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। এই অবস্থায় আমরা নিশ্চুপ থাকতে পারি না। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দেশে সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরাপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে যথাযথ ভূমিকা রাখার সময় এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, আগামী নির্বাচনে বাংলার জনগণ স্বাধীনতা বিরোধীদের বর্জন করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দলকে ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ করে দেবে। এলক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বিত সংগঠন ‘সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ’ দেশের ৮টি বিভাগ ও ২টি প্রস্তাবিত বিভাগে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের নিয়ে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে ঢাকার মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।’
সংগঠনটি জানায়, আগামী ২২ জানুয়ারি (রোববার) সিলেট বিভাগে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৫ জানুয়ারি (বুধবার) রংপুর, ২৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) রাজশাহী, ২৯ জানুয়ারি (রোববার) বরিশাল, ৩০ জানুয়ারি (সোমবার) ফরিদপুর, ৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) কুমিল্লা, ৫ ফেব্রুয়ারি (রোববার) চট্টগ্রাম, ৭ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ময়মনসিংহ ও ৯ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) খুলনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া তারিখে ঢাকার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
রাজাকার, আলবদর ও স্বাধীনতা বিরোধীদের চিরদিনের মতো রাজনৈতিকভাবে পুনরায় পরাজিত করে নির্মূল করাই এসব সমাবেশের উদ্দেশ্য বলে ওই লিখিত বক্তব্যে বলা হয়। সেখানে আরও বলা হয়, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকারকে সহায়তা করা। সকল সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, নাশকতা ও জঙ্গিবাদ নির্মূল করে দেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ পরিণত করা হবে। ক্ষুধা, দারিদ্র ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার জন্য সকল জরাজীর্ণতাকে বিদায় করে বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্ন সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় সরকারের হাত শক্তিশালী করা।