গোল পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে চেষ্টা করেছে আবাহনী লিমিটেড। আক্রমণও কমে করেনি। বিরতির পর এলিটা কিংসলে-নাবীব নেওয়াজ জীবনদের মাঠে নামিয়েও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা মেলেনি। প্রিমিয়ার লিগে ফর্টিসের সঙ্গে ড্রয়ের পর চতুর্থ ম্যাচে এসে আবারও খেতে হয়েছে হোঁচট। পুলিশ এফসির সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে মাঠ ছেড়েছে ৬ বারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।
শনিবার ময়মনসিংহের মাঠে শুরু থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের কাছে রেখে আক্রমণে নেতৃত্ব দেয় আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। কিন্তু কোনও গোলের দেখা মেলেনি।
ম্যাচ ঘড়ির ১৮ মিনিটে পিটারের ক্রসে ইউসেফের জোরালো শটে মেরাজ সামনে থেকে পা ছোঁয়াতে পারেননি।
৩২ মিনিটে রহমত মিয়ার লম্বা থ্রো-ইন থেকে মেরাজ ঠিকমতো লক্ষ্যে বল রাখতে পারলে গোল হতে পারতো। সেই আক্রমণের উৎস থেকে কলিনদ্রেসের কর্নারে ডিফেন্ডার রেজাউল করিমের হেড হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
বিরতির আগে পুলিশও কম চেষ্টা করেনি। ৪৩ মিনিটে জিল্লুর রহমানের ক্রসে সতীর্থ ফরোয়ার্ড পাওয়ার আগেই রেজাউল ক্লিয়ার করেন।
একটু পরই সতীর্থের পাস থেকে হেরনান্দেজের শট ডিফেন্ডার ইউসেফ পা দিয়ে আটকে দেন।
ড্রেসিংরুম থেকে ফিরে অনেকটা আক্রমণ-প্রতি আক্রমণ নির্ভর খেলা হয়েছে। কিংসলে-জীবন-ফাহিমরা মাঠে নেমে আক্রমণে তেজ বাড়ালেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি।
৫৮ মিনিটে কলিনদ্রেসের কর্নারে কিংসলের হেড অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট।
৭৩ মিনিটে পুলিশ সুবর্ণ সুযোগ পায়। মোনায়েম রাজুর লং বল থেকে এডওয়ার্ড মরিওর শট গোলকিপার শহিদুলের শরীরে লেগে দিক পরিবর্তন হয়ে যায়।
৪ মিনিট পর আবাহনীর সোহেল রানার জোরালো শট ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে সমর্থকরা হতাশ হয়। ৮২ মিনিট পর মারিওর জোরালো শট অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি পুলিশের।
দিনের অন্য ম্যাচে রহমতগঞ্জ ১-০গোলে এফসি উত্তরাকে হারিয়েছে। আবাহনী চার ম্যাচে দুই জয় ও ড্রতে ৮ পয়েন্ট পেয়েছে। পুলিশ এফসি সমান ম্যাচে দ্বিতীয় ড্রতে ৫ পয়েন্ট পেয়েছে।
রহমতগঞ্জ চার ম্যাচে প্রথম জয়ে ৫ পয়েন্ট ও এফসি উত্তরা তিন ম্যাচ খেলে এখনও কোনও পয়েন্টের দেখা পায়নি।