অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে দেয়া হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা দলটির আপিল দ্রুত শুনানির উদ্যোগ নেয়া হবে। তিনি বলেন, মামলা বিচারাধীন থাকায় জামায়াতের বিরুদ্ধে কোনো নির্বাহী আদেশ দেয়া যাচ্ছে না বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যথাযথ। জামায়াতের নিবন্ধন হাইকোর্টের আদেশে বাতিল হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন। বিচারাধীন বিষয়ে কোনো নির্বাহী আদেশ দেয়া যাচ্ছে না বলে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য যথার্থ।
গতকাল সুপ্রিম কোর্টে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, যেকোনো রাজনৈতিক দলের রাজনীতি করার প্রধান উদ্দেশ্য কি ক্ষমতায় যাওয়া? ক্ষমতায় যেতে হলে নির্বাচন করতে হবে। যদি তার (রাজনৈতিক দলের) লাইসেন্স না থাকে তাহলে তারা কিভাবে নির্বাচন করবে? আর যারা নাকি নির্বাচন কমিশনের অনুমোদন ছাড়া রাজনীতি করতে চায়, সেটা তো আন্ডারগ্রাউন্ড রাজনীতি। সেসব রাজনীতি তো আমাদের দেশের সাধারণ জনগণ গ্রহণ করেন না। আর তাদের রাজনীতি করতে দেয়ার জন্য সুযোগ-সুবিধা দিতে রাষ্ট্রেরও বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি বলেন, সেই লাইসেন্সটাই বাতিলের জন্য মামলাটি আপিল বিভাগে বিচারাধীন আছে। আমরা আশা করি, অতি দ্রুত এর শুনানির ব্যবস্থা নিতে পারব। তিনি বলেন, নিবন্ধন বাতিল হলে আপনা আপনি দল বাতিল হয়ে যাবে, রাজনীতি আর করতে পারবে না।
নতুন নামে জামায়াত রাজনীতি করতে পারবে কি না জানতে চাইলে মাহবুবে আলম বলেন, হিটলার নেই। কিন্তু হিটলারের ভাবাদর্শ নিয়ে যদি কোনো রাজনীতি শুরু হয়, সেটা কি বুঝতে জার্মান জনগণের অসুবিধা হবে? জামায়াতের ক্ষেত্রেও একইভাবে বলব, কেউ যদি জামায়াতি ভাবধারায় রাজনীতি শুরু করতে চায় সেটা কি সাধারণ জনগণ বুঝবে না?
ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাকের জামায়াত থেকে পদত্যাগের বিষয়ে তিনি বলেন, এটাতো আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি জেনারেল বলেই দিয়েছেন। তারা ক্ষমা চান বা না চান, তাতে কিছু আসে যায় না। যুদ্ধাপরাধের বিচার অব্যাহত থাকবে, ভবিষ্যতেও চলবে। আর এই মুহূর্তে তারা মাফ না চাইলে তাদের অবস্থা দিনের পর দিন আরো খারাপ হবে। এটা হয়তো তারা বুঝতে পেরেছে।