শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে বন্যহাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে শরিফুল ইসলাম শরিফ (৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (৬ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে ওই উপজেলার সীমান্তবর্তী বাতকুচি বনবিটের নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা এলাকার গভীর অরণ্যে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত শরিফ ওই এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল করিমের ছেলে। পেশায় কিন্ডারগার্টেন শিক্ষক শরিফ দুই সন্তানের বাবা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকার লোকালয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ৪০-৫০টি বুনোহাতির একটি দল খাদ্যের সন্ধানে তাণ্ডব চালিয়ে আসছে। গত কয়েকদিন যাবৎ কয়েকটি উপদলে বিভক্ত হয়ে হাতির দল পাহাড়ি এলাকার বাড়ি-ঘরে তাণ্ডব চালাচ্ছে। শুক্রবার বিকালে দাওধারা-কাটাবাড়িপাড়া গ্রামের শরিফসহ কয়েকজন মিলে দাওধারা ইসলামিক মিশন এলাকার লালটিলা গহীন অরণ্যে হাতি তাড়াতে যান। হাতির দল লোকজনের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের আক্রমণ করে। সে সময় জীবন বাঁচাতে শরিফ ও তার সঙ্গীরা দৌড় দেন। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেননি শরিফ। জঙ্গলে পড়ে গেলে হাতির দল তাকে পা দিয়ে পিষ্ট করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী দলবদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থল থেকে শরিফের মরদেহ উদ্ধার করেন।
ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা রেঞ্জ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, ‘শরিফ হাতি তাড়াতে গেলে আকস্মিকভাবে আক্রমণের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান। তার পরিবারের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলে বন বিভাগ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ক্ষতিপূরণ হিসেবে তিন লাখ টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।’
নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খৃষ্টফার হিমেল রিছিল বলেন, ‘নিহত শরিফের পরিবারকে সরকারিভাবে ২৫ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’