রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। এই নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে।
নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। একইসাথে নির্বাচনী এলাকায় সব ব্যাংক বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া এক হাজার ৮০৭টি সিসিটিভি মনিটরিং করবে রংপুর সিটি করপোরেশনের ভোট।
এদিকে রসিক নির্বাচনে ৮৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) তিনি বলেন, রসিক নির্বাচনে আমরা ৮৬টি কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছি। সেসব কেন্দ্রের জন্য আলাদা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমরা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে এই কেন্দ্রগুলো নিবিড় পর্যবেক্ষণ করব। গাইবান্ধার মতো কোনো সমস্যা দেখা গেলে সাথে সাথে নির্বাচন বন্ধ করে দেয়া হবে। আমরা গাইবান্ধা নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। রংপুরেও সমস্যা হলে ভোট বন্ধ করে দেয়া হবে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চাই।
রসিক নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ২৬০ জন। এক্ষেত্রে মেয়র পদে নয়জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র পদে নয় প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।
রসিকের ৩৩টি ওয়ার্ডের দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। ২২৯টি কেন্দ্রে এবারের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।