ময়মনসিংহে ধর্ম পরিবর্তন করায় ফাতেমা রহমান (২০) নামের এক তরুণীকে সেইফ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে বিজ্ঞ আদালত। এতে সংশ্লিষ্টদের মাঝে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নিরাপত্তার স্বার্থে এই আদেশ দেয়। ফাতেমা রহমানের পূর্বের নাম অর্পা সাহা। সে ময়মনসিংহ নগরীর ৭নং ওয়ার্ড অমৃত বাবু রোড এলাকার গৌতম চন্দ্র সাহার মেয়ে।
কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে ওই তরুণীকে ফরিদপুর সেইফ হোমে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে। ইতিমধ্যে এই আদেশ বাস্তবায়ন প্রক্রিয়াধীন।
জানা যায়, ফাতেমা রহমান গত ৫ ডিসেম্বর ময়মনসিংহের চীফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত হয়ে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এফিডেভিটে তিনি নিজেকে প্রাপ্ত বয়স্কা উল্লেখ করে কোন চাপ ছাড়াই নিজের ইচ্ছায় ধর্ম পরিবর্তনের সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
এরপর ঘটনাটি ফাতেমা ওরফে অর্পার পরিবারে জানাজানি হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গালমন্দ ও নির্যাতন করে। এ ঘটনায় গত ১০ ডিসেম্বর কোতয়ালী মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি দায়ের করে ফাতেমা ওরফে অর্পা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, গত ২৫ ডিসেম্বর রাতে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বর এ কল পেয়ে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি টিম রাতেই ফাতেমাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
এ ঘটনায় আজ সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) ফাতেমা ওরফে অর্পাকে ময়মনসিংহের চীফ জুডিশিয়াল মেজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় আদালতের বিজ্ঞ বিচারক তাঁর জবানবন্দি গ্রহন করে তাকে সেফ হোমে রাখার আদেশ দেয়।
এ ঘটনায় ফাতেমার আইনজীবি খন্দকার বদরুল আলম বলেন, বিজ্ঞ আদালত নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে সেফ হোমে রাখার আদেশ দিয়েছেন। এতে দুই পক্ষই খুশি।