ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে ভালুকায় পৌঁছে দেয়ার কথা বলে কৌশলে নান্দাইলের দেওয়ানগঞ্জ বাজারে এনে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন উপজেলার খারুয়া ইউনিয়নের কোনাবাড়ীর মোটরসাইকেল চালক সুমন মিয়া ওরফে বেকার সুমন।
ভুক্তবোগীর অভিযোগ মতে, মোটরসাইকেল চালক সুমন প্রথমে দেওয়ানগঞ্জ বাজারে নিয়ে যায়। পরে বাজার থেকে কিছুটা দূরে নির্জনে সুমন, আমানুল্লাহসহ কয়েকজন তাঁকে ধর্ষণ করে মন্দিরের পাশে রেখে পালিয়ে যায়। ভিকটিম বর্তমানে বাবার বাড়ি ভালুকায় অবস্থান। ভিকটিম বলেন, এ ঘটনার রাতেই আমি খারুয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসনাত মিন্টুর কাছে গিয়ে বিচার চাই। তিনি সহায়তা না করে হাতে কিছু টাকা ধরিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন। পরে নান্দাইল থানায় অভিযোগ দিতে গেলে চেয়ারম্যানের লোকজনের বাধার কারণে পারিনি। আমি তাদের কঠিন শাস্তি চাই। এদিকে এ ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে রোববার জানাজানি হয়।
এ বিষয়ে খারুয়া ইউপি সদস্য আশিকুর রহমান জানান, শুক্রবার রাতে মেয়েটি কান্নাকাটি করছিলেন বলে তিনি থানায় ফোন করেন। কিন্তু অভিভাবক ছাড়া থানা অভিযোগ নিতে রাজি হয়নি। পরে আর এগোয়নি।
ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল হাসনাত মিন্টু বলেন, ‘ওই রাতে তরুণী এলেও ধর্ষণের কোনো অভিযোগ করেননি। বাড়ি যাওয়ার টাকা না থাকায় ভাড়াবাবদ কিছু দিয়েছিলাম।’ ধর্ষণে ঘটনায় অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে পাওয়া যায়নি।
নান্দাইল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান আকন্দ জানান, ধর্ষণের ঘটনা তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছেন। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।