ধর্ষণের ক্ষেত্রে মেয়েটি আপাপবিদ্ধা ছিল কিনা তা জানার জন্য টু ফিঙ্গার টেস্টে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচুর এবং হিমা কৌশল কে নিয়ে গড়া ডিভিশন বেঞ্চ। অমানবিক এই প্রথা রোধ হতে অনেকে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন। কিন্তু, বিয়ের আগে মেয়েদের অনেক সময় কুমারিত্বের পরীক্ষা দিতে হয়। অর্থাৎ বিয়ের আগে মেয়েটির যৌন সংসর্গ হয়েছিল কিনা তা পরীক্ষা করে নেয়া হয়।
সম্প্রতি রাজস্থানে ২৬ বছর বয়সী এক তরুণীকে এই পরীক্ষার সামনে পড়তে হয়। কুমারিত্ব পরীক্ষায় মেয়েটি উত্তীর্ণ হতে পারেনি। কারণ, আগেই সে ধর্ষণের শিকার হয়। পাত্র পক্ষের কাছে সেই কথা গোপন করেনি পাত্রীপক্ষ। তাও প্রস্তাবিত বিয়েটা ভেঙে যায়। এই হৃদয়বিদারক ঘটনার পর মেয়েদের কুমারিত্ব প্রমাণের পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে ভারতে।
জানানো হয়েছে, কোনো ক্ষেত্রেই কুমারিত্বের পরীক্ষা দিতে বাধ্য থাকবে না নারীরা। নারীদের মর্যাদা দিতেই এই ব্যবস্থা বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।