যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসায় কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থী। তারা হলেন আবু সাবিক মাহদী, সাব্বির হাসান, বিশ্বপ্রিয় চক্রবর্তী, কাজী মাইনুল ইসলাম ও এস এম রাফি আদনান।
স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৮ এর একটি বিভাগে বিজয়ী হওয়ার পর তাদের ওই সুযোগ দেয়া হয়েছে। ‘সাস্ট অলিক’ দলের ওই সদস্যরা ‘বেস্ট ইউজ অব ডেটা’ বিভাগে সেরা হয়েছেন। তাদের তৈরি ‘লুনার ভিআর’ সারা বিশ্বের দুই হাজারেরও অধিক দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে বিজয়ী হয়েছে।
এ প্রতিযোগিতায় তাদের প্রকল্প পেছনে ফেলেছে ক্যালিফোর্নিয়া, কুয়ালালামপুর ও জাপানের প্রকল্পকে। ওই প্রতিযোগিতায় বাকি পাঁচ বিভাগসহ সব বিভাগের জয়ী দলের সদস্যরা নাসায় যাওয়ার এবং সেখানে শিক্ষানবিশ হিসেবে কিছুদিন কাজ করার সুযোগ পাবেন।
লুনার ভিআর প্রকল্পের টিম লিডার আবু সাবিক মাহদী বলেন, তারা নাসার তথ্য ব্যবহার করে একটি অ্যাপ তৈরি করেছেন। তাদের প্রকল্পটি মূলত নাসার তথ্য ব্যবহার করে ভিআর উপাদান তৈরি। এতে ভার্চ্যুয়াল রিয়্যালিটি অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারী চাঁদে ভ্রমণের অভিজ্ঞতা পাবেন। নাসার সরবরাহ করা বিভিন্ন উপাদান থেকে থ্রিডি মডেল ও তথ্য সংগ্রহ করেন তারা।
নাসা অ্যাপোলো ১১ মিশনের ল্যান্ডিং এরিয়া ভ্রমণ, চাঁদ থেকে সূর্যগ্রহণ দেখা এবং চাঁদকে একটি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আবর্তন করা এই তিন ভিন্ন পরিবেশকে ভার্চ্যুয়ালভাবে তৈরি করেছে টিম অলিক। তারা গত অক্টোবর মাসে দেশে আয়োজিত ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর ঘোষিত প্রাথমিক ফলাফলে বিশ্বের ৭৯টি দেশের ২ হাজার ৭২৯টি দলের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জের দুটি ক্যাটাগরির শীর্ষ চারে উঠে আসে বাংলাদেশ।