ময়মনসিংহে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিএনপির প্রীতি সম্মিলনী ও নৈশভোজের দাওয়াত পণ্ড হয়ে গেছে। এ ঘটনায় অনুষ্ঠানের আয়োজক ও অতিথিদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় নগরীর চরপাড়া এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সম্মানে এই নৈশভোজের আয়োজন করার কথা ছিল বিএনপির বিভাগীয় টিমের। কিন্তু পুলিশের বাধার কারণে সেটি সুন্দরভাবে করা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির নেতারা। এ জন্য দলটির পক্ষ থেকে উপস্থিত সাংবাদিকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করা হয়।
তবে পুলিশ বলছে ভিন্ন কথা। কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ গণমাধ্যমকে বলেন, বিএনপি সাংবাদিকদের দাওয়াত দিয়ে রেস্টুরেন্টে খাওয়াবে এ জন্য তারা কোনো অনুমতি চায়নি বা অনুমতি দেওয়ারও কিছু নেই। এখন তারা পুলিশের বাধার নামে উল্টাপাল্টা বলছে।
বিএনপি নেতারা জানান, গত ১৫ অক্টোবর শত বাধা উপেক্ষা করে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল হয়েছে। ওই সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে রোদে পুড়ে সাংবাদিকরা অনেক কষ্ট করেছেন। এ জন্য দলের পক্ষ থেকে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাতে এই নৈশভোজ ও প্রীতি সম্মিলনীর আয়োজন করা হয়েছিল।
অনুষ্ঠান আয়োজক টিমের প্রধান ও বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স জানান, অনুষ্ঠানে পুলিশের বাধা দিয়েছে এবং রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষকে খাবার বিতরণ ও আয়োজনে নিষেধ করা হয়েছে। পরে বাইরে থেকে খাবার এনে অতিথিদের খাবার দেওয়া হয়।
তিনি আরও বলেন, সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা নিন্দনীয় এবং সাংবিধানিক অধিকারে নির্লজ্জ হস্তক্ষেপ। এতে প্রমাণ হয় সরকার এতোটাই জনবিচ্ছিন্ন যে তারা সাংবাদিকদের প্রীতি সম্মিলনীর মতো নিরীহ অনুষ্ঠানকেও ভয় পায়।
এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সামনে দুঃখ প্রকাশ করে এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনায় রাষ্ট্র ব্যবস্থার চরম কর্তৃত্ববাদী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। এতেই বুঝা যায় দেশের পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় দেশের শ্বাঃসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতে আমরা সাংবাদিকদের সহযোগীতা চাই।
সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন, ময়মনসিংহ মহানগর বিএনপির অহবায়ক অধ্যাপক একেএম শফিকুল ইসলাম, দক্ষিন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বাবলু, অধ্যাপক শেখ আমজাদ আলী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহার হোসেন তালুকদারসহ অন্যান্য নেতারা।
তবে এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।