পাহাড়ে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ বিরোধী যৌথ বাহিনীর চলমান অভিযানের কারণে বান্দরবানের দুটি উপজেলায় দেশি-বিদেশি পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরো চার দিন বাড়িয়ে ২০ নভেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে এ নিষেধাজ্ঞা থেকে আলীকদম উপজেলাকে বাদ দেয়া হয়েছে। এখন শুধুমাত্র রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় এ নিষেধাজ্ঞা বলবত থাকবে। সন্ত্রাস বিরোধী যৌথ বাহিনীর অভিযানের কারণে অপ্রতিকর ঘটনার আশঙ্কায় এ নিয়ে সপ্তমবারের মতো এ নিষেধাজ্ঞা বর্ধিত করা হলো।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি স্বাক্ষরিত এক পত্রে এই নিষেধাজ্ঞার তথ্য জানানো হয়।
ওই পত্রে জানানো হয়েছে বান্দরবান সেনা রিজিয়নের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এদিকে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞার কারণে বান্দরবান পর্যটন শিল্প লোকসানের মুখে পড়েছে। এর আগে প্রথমে ১৭ অক্টোবর রোয়াংছড়ি ও রুমা উপজেলায় পর্যটকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। দ্বিতীয় দফায় ২৩ অক্টোবর, তৃতীয়বারে ৩০ অক্টোবর ওই দুই উপজেলাসহ থানচি ও আলীকদম উপজেলায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়ন ও ওই ইউনিয়ন-সংলগ্ন বান্দরবানের রুমা ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় ৯ অক্টোবর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বিত জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে। ১৮ অক্টোবর থেকে থানচি ও আলীকদম উপজেলাও অভিযানের আওতায় নেয়া হয়।
গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী দুর্গম পাহাড়ে কুকিচীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) নামে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন থেকে সমতল থেকে আসা উগ্রবাদীরা প্রশিক্ষণ নিচ্ছে ও সেখানে অবস্থান করছে।