কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘দেশে খাদ্য নিয়ে কোনো সঙ্কট হবে না, সেরকম স্বস্তির জায়গায় আছি। কারণ প্রধানমন্ত্রী আমাদের সজাগ রাখছেন। কৃষির কোনো পণ্য বা যন্ত্রপাতির দাম বাড়ানো হবে না। আমরা চাই কৃষকরা কৃষিতে লাভ করুক এবং তাদের জীবন যাত্রার মান উন্নত হোক। সারা পৃথিবীর অর্থনীতিতে সাংঘাতিক একটা অস্থিরতা যাচ্ছে। সুতরাং সে কথাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে। সবাইকে কিছুটা কষ্ট সহ্য করতে হবে।‘
মঙ্গলবার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গার পৃথক কয়েকটি স্থানে কৃষিমন্ত্রী বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণ করেন এবং সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
হৈবতপুর গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংবলিত ৫ শহীদ স্মৃতিস্তম্ভের সামনে কৃষিমন্ত্রীকে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে গার্ড অব অর্নার প্রদান করা হয়।
২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকায় হেফাজতের সমাবেশের কথা উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, হেফাজতের সমাবেশ দেখে খালেদা জিয়া উৎফলিত হয়ে বিএনপি নেতাকর্মীকে সমাবেশে উপস্থিত থাকতে বলেন। কিন্তু রাত ২টার মধ্যেই শাপলা চত্বর পরিষ্কার হয়ে যায়। ১০ ডিসেম্বর যদি বিএনপি ঢাকায় এমন কিছু করতে চায় তাহলে হেফাজতের মতই পরিষ্কার হয়ে যাবে।
এ সময় তিনি বলেন, সরকার কৃষিতে সথেষ্ট সমৃদ্ধ। কৃষকদের প্রয়োজনীয় উপকরণে নিয়মিত ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে। তাই এই উপকরণের দাম আগামীতে বৃদ্ধি পাবে না। প্রধানমন্ত্রী কৃষকদেরকে আবাদি জমি বাড়িয়ে চাষাবাদে বেশি মনোযোগী হওয়ার জন্য তাগিদ দিচ্ছেন। দেশে যেন খাদ্য ঘাটতি না হয়।
এর আগে, কৃষিমন্ত্রী চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বিএডিসির দত্তনগর খামার পরিদর্শন করেন। একই উপজেলার উচ্চ ফলনশীল জাতের পেয়াজ খামার পরিদর্শন করেন। পরে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার হৈবতপুর গ্রামে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংগ্রহশালা উদ্বোধন করেন। উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক।
এছাড়া বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলি আজগর টগর, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।