গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ.ম. রেজাউল করিম সংসদে বলেছেন, গৃহায়ণের সদস্য না হয়েও এবং আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের যোগ্য না হয়েও কিছু কোম্পানি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করছে। এই ধরনের প্রতারণা রোধে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়। বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান এই ধরনের প্রকল্পের প্রস্তাব দিলে মন্ত্রণালয় তা বিবেচনা করবে।
সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে রোববার সরকার দলীয় সদস্য এবাদুল করিম চৌধুরীর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
সরকার দলীয় এপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে গণপূর্ত মন্ত্রী বলেন, জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সরকারিভাবে আবাসন প্রকল্প করে খুব একটা সাড়া মিলছে না। অনেক স্থানে অর্ধেক আবেদনও পাওয়া যায়নি। চাহিদার ভিত্তিতে এবং নিষ্কন্টক জমিতে জেলা উপজেলা পর্যায়ে আবাসন প্রকল্প করা উচিত। সংশ্লিষ্ট সংসদ সদস্যরা যদি তাদের এলাকার আবাসনের চাহিদা ব্যক্ত করে তালিকা দেন তাহলে মন্ত্রণালয় সেখানে প্রকল্প বাস্তবায়নের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে।
মাহফুজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে শ.ম রেজাউল করি জানান, সকলের জন্য আবাসন নিশ্চিত করার মাধ্যমে কেউ গৃহহীন থাকবে না- প্রধানমন্ত্রীর এই সংক্রান্ত ঘোষণা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গণপূর্ত মন্ত্রণালয়াধীন গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ নিরলসভাবে কাজ করছে। সরকারি অর্থায়নে ঢাকার মিরপুরে আলাদা দুটি প্রকল্পে বস্তিবাসী ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ভাড়া ভিত্তিক আরও ১০ হাজার ৫৩০টি এবং চট্টগ্রাম জেলার বাকুলিয়ায় ২ হাজার ৬৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পর্যায়ক্রমে সকল জেলার গৃহহীন মানুষের মাঝে স্বল্প খরচে ফ্ল্যাট ও প্লট বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।