১৬ বছরেও শেষ হয়নি ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির হত্যার বিচার

নারায়ণগঞ্জে আলোচিত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যাকান্ডের বিচার গত ১৬ বছরেও শেষ হয়নি। হত্যাকান্ডের দাখিলকৃত চার্জশীটের বিরুদ্ধে নারাজি প্রদান করায় মামলাটির বিচার চলেছ ঢিমেতালে। সোমবার সাব্বির আলম খন্দকার হত্যাকান্ডের ১৬ম বার্ষিকী।

সাব্বির আলম খন্দকার গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ নিটওয়্যার অ্যান্ড ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিকেএমইএ) এর প্রতিষ্ঠাকালীন পরিচালক ও সাবেক সহ-সভাপতি। তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকারের ছোট ভাই। তার অপর ভাই মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহবায়ক।

দিবসটি উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে থেকে শোক র‌্যালীর আয়োজন করে শহীদ সাব্বির আলম খন্দকার ফাউন্ডেশন। এছাড়া ৯ দিনব্যাপী কর্মসূচী পালন করার ঘোষণা দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সালের শুরুর দিকে অপারেশন ক্লিনহার্ট চলাকালীন একটি অনুষ্ঠানে প্রশাসনের লোকজনের উপস্থিতিতে সাব্বির আলম নিজের জানাযায় সকলকে শরীক হওয়ার আহবান জানিয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।
ওই বক্তব্য প্রদানের কয়েকদিন পর ১৮ ফেব্রুয়ারী শহরের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়ির অদূরে আততায়ীদের গুলিতে তিনি নিহত হন।

এরপর ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী সাব্বির হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে ফতুল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।

সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামী উল্লেখ করা হয়।

মামলার প্রধান আসামী গিয়াস উদ্দিনকে মামলা থেকে বাদ দেয়ায় মামলার বাদি তৈমূর আলম খন্দকার সিআইডির দেয়া চার্জশীটের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ২৪ জানুয়ারী আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন।

নারাজি পিটিশনে তৈমুর আলম বলেন, গিয়াসউদ্দিনই সাব্বির আলম হত্যাকান্ডের মূল নায়ক। গিয়াসউদ্দিন ও তার সহযোগীদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা একটি গোজাঁমিলের চার্জশীট দাখিল করেছেন। পরবর্তীতে আদালত মামলাটি পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেন।

এরপর থেকে গত ৬ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম আদালতে (ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট) মামলার শুনানী চলে আসছিল। কিন্তু ২০০৭ সালের ১৮ এপ্রিল তৈমূর আলম খন্দকার যৌথবাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার এবং ২০০৮ সালের মে মাসে জামিনে মুক্তি পেলেও নানা অজুহাতে নারাজি প্রদানে বিরত ছিলেন তৈমূর।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top