মসজিদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবলীগ নেতা সোহেল রানা মুন্সি ও তফাজ্জল হোসেন ওয়াদুদকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
বুধবার (৯ নভেম্বর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ২য় আদালত এ আদেশ দেয়।
জানা গেছে, এ বছরের ২৭ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের চিলোকূট গ্রামের মুন্সিবাড়ি শাহী জামে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো: ইকবালের করা মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা মুন্সি ও তার মামা তফাজ্জল হোসেন ওয়াদুদের বিরুদ্ধে মসজিদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করা হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, চিলোকুট গ্রামের বাসিন্দা ইসমাইল মুন্সি চিলোকুট মুন্সিবাড়ি শাহী জামে মসজিদ কমিটির কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তার বার্ধক্য ও অসুস্থতাজনিত কারণে ২০১৯ সালের জুন মাসে তার ছেলে যুবলীগ নেতা সোহেল রানা মুন্সিকে কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব দেয়া হয়। এরপর মসজিদ ফান্ডের সাত লাখ নয় হাজার টাকা নিজের কাছে নিয়ে নেন সোহেল।
মামলায় আরো বলা হয়, মসজিদের আবারো নির্মাণকাজ শুরু হলে কমিটির লোকজন সোহেলের কাছে ফান্ডের টাকা ফেরত দিতে বলেন। কিন্তু টাকা না দিয়ে ঘুরাতে থাকেন তিনি। সর্বশেষ গত (২৫ জানুয়ারি) কমিটির লোকজন টাকা ফেরত দিতে বললে মসজিদের পাওনা অর্থ অস্বীকার করেন সোহেল। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে সোহেল কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবালসহ কয়েকজনকে মারধর করেন।
মামলার বাদিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মহিউদ্দিন স্বপন বলেন, গত ২৭ জানুয়ারি মসজিদের অর্থ আত্মসাতের মামলায় সদর মডেল থানা পুলিশ তদন্ত করে সত্যতা পায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে আদালত আসামিদের বিরমদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। আসামিরা আপস করবে মর্মে আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও মসজিদের সাত লাখ নয় হাজার টাকা না দিয়ে জামিনের শর্ত ভঙ্গ করায় বাদিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ আদালত শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করে।