আসছে শীত,বাড়ছে লেপ-তোষকের কদর। শীতের আগমনী বার্তায় লেপ তোষক বানানোর ধুম পড়েছে ফুলপুরে।বেশ ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন লেপ তোষক দোকানি ও কারিগররা।
লেপ তোষকের দোকানে ক্রেতাদের ভিড় ও তোরজোর থাকায় ব্যবসায়ীদেরও পোয়াবারো। তারা মৌসুমী লাভের এই সুযোগটাকে হাতছাড়া করতে চাইছেন না।কম্বলের চাইতে লেপের দাম কম ও এটি বেশি আরামদায়ক হওয়ায় ক্রেতারা লেপের দিকেই ঝুঁকছেন বেশি।তাই লেপ তোষকের দোকানে বেড়েছে মৌসুমী ভিড়।
অন্যদিক শীতের আগামনী বার্তার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের গৃহবধূদের অনেকেই কাঁথা সেলাই শুরু করে দিয়েছেন।
গ্রাম-বাংলায় একটি প্রবাদ আছে,আশ্বিন মাস এলেই শীতের কারণে মানুষের গা শিন-শিন করে।তবে বেশিরভাগ মানুষই শীত নিবারণে সাধারণত নির্ভর করেন লেপ-তোষকের ওপর। এ কারণে লেপ-তোষকের কারিগরদেরও শীত আসলেই শুরু হয় ব্যস্ততা।দম ফেলানোর ফুরসত নেই।প্রতিবছরের মতো এবারও এর ব্যতিক্রম হচ্ছে না।
কার্তিক মাসে যখন শীত আসছে আসছে ভাব তখন পুরোদমে দোকান খুলে বসেন তারা। লেপ-তোষকের কাপড়,তুলার পসরা নিয়ে বসেন লেপ-তোষক তৈরির কারিগররা।
এসব দোকানের কর্মচারীদের এখন অলস সময় কাটানোর একদম ফুরসত নেই।আশ্বিন মাস থেকে ফাল্গুন মাস পর্যন্ত এ পেশার কারিগররা ব্যস্ত থাকলেও অবশিষ্ট সময়ে কারিগররা অন্য পেশায় নিয়োজিত থাকেন
এদিকে শীত মৌসুমের শুরুতেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানের নারীরা সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজের ফাকে অবসর সময়টুকু কাঁথা সেলাই করে পার করছেন।
আপনজন নিজেদের ব্যবহার ও বিক্রি করতে মনের মাধুরি মিশিয়ে নিপুন কারুকার্যে কাঁথা সেলাই করছেন।অনেকেই আবার বিক্রি করে ভাল টাকা আয় করছেন।কাঁথা সেলাই কাজ গ্রামাঞ্চলের গৃহিনীরা করে বাড়তি আয় করছেন।বিভিন্ন দামের দেশি-বিদেশি কম্বল বাজার দখল করে নেয়ায় অতীতের শীতবস্ত্র লেপ কাঁথা আজ বিলুপ্তির পথে বলে জানায় সচেতন মহল।