সচিব পর্যায়ে আবারো বড় রদবদল করেছে সরকার। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারের স্বাক্ষরিত কয়েকটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে এই রদবদল করা হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবারও সাতজন সচিবকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বরদবদল করা হয়।
মঙ্গলবার জারি করা প্রজ্ঞাপনে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগে বদলির আদেশাধীন বর্তমানে বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ড. মো: মুশফিকুর রহমানকে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের (পিপিপি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে বদলি করা হয়।
আরেকটি প্রজ্ঞাপনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে বদলীর আদেশাধীন নির্বাচন কমিশন সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকারকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে বদলির আদেশাধীন শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানার বদলির আদেশ বাতিল করা হয়।
পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষের (পিপিপি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইবরাহিমকে স্থানীয় সরকার বিভাগে বদলি করা হয়। আরো একটি পৃথক প্রজ্ঞাপনে কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব কামাল হোসেনকে সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেয়া হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার সাতজনের রদবদল করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো: আমিনুল ইসলাম খানকে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব পদে বদলি করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানাকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো: হুমায়ুন কবীর খোন্দকারকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে বদলি করা হয়। পদোন্নতি পেয়ে সিনিয়র সচিব হন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মো: মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী।
পদোন্নতি পেয়ে সচিব হন তিনজন অতিরিক্ত সচিব। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (অতিরিক্ত সচিব) ফরিদ আহাম্মদকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) মো: আনিছুর রহমানকে সচিব পদে পদোন্নতি দিয়ে একই পদে রাখা হয়েছে। এ ছাড়া জননিরাপত্তা বিভাগের সংযুক্ত অতিরিক্ত সচিব মো: জাহাঙ্গীর আলমকে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব করা হয়।