নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে পুকুরকে সরোবর করার পরিকল্পনা করছেন উপাচার্য

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুরোনো তিনটি ভবন : কলা, বিজ্ঞান আর প্রশাসনিক- এর মাঝখানের পুকুরটিকে সরোবর করার পরিকল্পনা করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর।

উপাচার্য তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে থেকে এক স্ট্যাটাসে বর্তমান পুকুরটির ও পরিকল্পিত সরোবরটির ডেমো ছবি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর স্ট্যাটাসে বলেছেন, “পুরোনো তিনটি ভবন : কলা, বিজ্ঞান আর প্রশাসনিক। এর মাঝখানে এই পুকুর। প্রায় মজা অবস্থায় পড়েছিল অনেকদিন ধরে। আমরা পরিকল্পনা করেছি, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি চমৎকার সরোবর করার। তাই মৃত্তিকাবিজ্ঞানী আর পরিবেশবিদদের দিয়ে একটি প্রাসঙ্গিক কমিটি করে দিয়েছিলাম। তাঁদের পরামর্শ গ্রহণ করেছি। সে অনুসারে পরিষ্কার করা হলো। অনেকে আগে বলেছিলেন, এতে প্রচুর পুরোনো মাছ আছে। কমিটি করে দিয়ে সেখানে জাল ফেলা হলো। কোথায়? কথা অনুসারে তেমন মাছ পাওয়া গেল না। তারপরও যেসব মাছ পাওয়া গেল, কমিটির সদস্যবর্গ সিদ্ধান্ত নিয়ে হলের ছাত্রছাত্রীদের খাবার জন্য প্রায় সব মাছই পাঠিয়ে দিলেন ক্যান্টিনে। ছাত্রছাত্রীরা খাবে। আমরা এই সরোবরকে করতে চাই দৃষ্টিনন্দন আর আকর্ষণীয়।”

তিনি আরও বলেছেন, “পরিকল্পনা আছে, পার্শ্ববর্তী জমিন থেকে পুকুরের জলে উঠে আসবে একটি হাত, অঞ্জলি দেওয়ার ভঙ্গিতে। আমরা এর নামকরণ করতে চাই, কাজী নজরুল ইসলামের গান থেকে-‘অঞ্জলি লহ মোর’। সরোবরটির চারিদিকে চমৎকার করে বাঁধাই করা হবে। তিনটে ভবনকে বাঁধবে একটি সুতোয়। বিকেল পাঁচটা থেকে যন্ত্রে চলবে গান, মৃদুস্বরে, রাত দশটা অবধি। মূলত নজরুলসংগীতই হবে, ক্লাসিকও কিছু হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সবার গমনাগমনের জন্য থাকবে এই সরোবরকেন্দ্র উন্মুক্ত। আমাদের একটি বড় পরিকল্পনা আছে এই সরোবরকে নিয়ে। আশাকরি আগামী কয়েক মাসের মধ্যে সেটি বাস্তবায়িত হবে এবং চর্মচক্ষুতে দেখা যাবে। তবে এরই মধ্যে, কাজের কারণে অনেকের বিশেষ অসুবিধা হয়তো হবে। আশা করি, সবাই সেটি মেনে নেবেন।”

এদিকে তার এই চমৎকার পরিকল্পনাটিকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ সকলেই। সুন্দর এই সরোবরটিকে উপভোগ করার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

Share this post

scroll to top