বাস, লঞ্চ বন্ধ থাকলেও বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সমাবেশে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। রাত পোহানোর পর থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে আসছেন নেতাকর্মীরা। তাদের পদভারে মুখরিত হয়ে উঠেছে ডাকবাংলো চত্বর।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি, নির্বাচনকালীন সরকার, জ্বালানিসহ নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, পুলিশের গুলিতে নেতাকর্মী হত্যা, হামলা এবং মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে শনিবার (২২ অক্টোবর) নগরীর ডাকবাংলো চত্বরে অনুষ্ঠিত হবে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ। দুপুর ২টায় সমাবেশ শুরুর কথা রয়েছে।
গণসমাবেশে যোগ দিতে শুক্রবার রাতেই খুলনায় পৌঁছেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।
এদিকে মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচলের প্রতিবাদে সমাবেশের একদিন আগে থেকে খুলনাসহ এর আশপাশের জেলায় বাস বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে নেতাকর্মীদের কেউ কেউ হেঁটে, সাইকেলে, মোটরসাইকেলে, ট্রাক, প্রাইভেট গাড়িতে, নৌকা, লঞ্চে নগরীতে আসছেন। নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়, রেলস্টেশনে মিলিত হয়ে সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
সকালে ডাকবাংলো মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, সমাবেশস্থলের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান করছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। সমাবেশ মঞ্চ থেকে শিববাড়ি মোড় পর্যন্ত দেড় কিলোমিটার এলাকাজুড়ে টানানো হয়েছে ১২০টি মাইক। বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতারা বক্তব্য দিয়ে কর্মীদের উজ্জীবিত রাখছেন।
নগরীর পাওয়ার হাউজ মোড়ে নেতাকর্মীদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন ডুমুরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মোল্লা মফিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ডুমুরিয়া থেকে যে পরিমাণ নেতাকর্মীদের আসার কথা ছিল তার থেকে অনেক বেশি এসেছে। তাদের নিয়েই সমাবেশস্থলে যাচ্ছি।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন বলেন, সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সমাবেশের সময় থাকবে ড্রোন ক্যামেরার নজরদারি। এছাড়া সমাবেশের শৃঙ্খলার দায়িত্ব পালন করবে ৪০০ স্বেচ্ছাসেবক।