বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ ছেলে শেখ রাসেলের ৫৯তম জম্মদিনে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২২’ উদযাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটির পরিচালনায় সূর্যোদয়ের পর থেকেই থেকে এ উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, দিবসটি উপলক্ষ্যে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্থানে পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টায় শেখ রাসেল স্মৃতি বিজরিত ব্যানার প্রদর্শন, ৯টা ৩০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিচত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় মসজিদ ও তার আশেপাশে বৃক্ষরোপন, দুপুরে বিভিন্ন উপাসনালয়ে প্রার্থনাসহ সন্ধ্যায় জাতীয় পতাকা নামানো, অনলাইনে আলোচনা সভা ও ডকুমেন্টরি প্রদর্শনী রয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে সব স্কুল-কলেজে দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, দেয়ালিকা প্রকাশ ও আইসিটি ল্যাবের উদ্বোধনের কথাও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু স্মৃতিচত্বরে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ রফিকুল ইসলাম, ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মোঃ সাইফুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মহির উদ্দিনসহ হলগুলোর প্রভোস্ট, ডিন কাউন্সিলের সদস্য ও অন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, আজ ১৮ই অক্টোবর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জম্মদিন। পিতার মতোই উদ্যমী ও বলিষ্ঠতার অধিকারী ছিল সেই ছোটবেলা থেকেই। সবাই ধারণা করেছিলো তিনি তার বাবার মতোই দেশের কান্ডারী হবে। তাইতো কিছু বিপদগামী সৈনিক এবং কুচক্রের ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে প্রাণ দিতে হয়েছিলো তার। তারা বুঝতে পেরেছিলো হয়তো শেখ রাসেল তার বাবার আর্দশে মানুষ হয়ে অনন্য ইতিহাস রচনা করবে। তাই তো তাদের চক্রান্ত থেকে রেহাই পায়নি ছোট্ট রাসেলও।