ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার রাঙামাটিয়া ইউনিয়নের পাহাড় অনন্তপুর গ্রামে পানির সাথে মেশানো চেতনানাশক খেয়ে দুই পারিবারের শিশুসহ ১৫ জন আক্রান্ত হয়েছে। রবিবার রাতে ঐ দুই বাড়ীতে পানির সাথে চেতনানাশক ওষুধ মিশিয়ে রাখে দুস্কৃতকারীরা। ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে উপজেলার রাঙ্গামাটিয়া, এনায়েতপুর ও নাওগাঁও ইউনিয়নের বিভিন্ন বাড়িতে মাঝে মাঝেই খাবারের এবং নলকূপের পানির সঙ্গে ওষুধ মিশিয়ে দিচ্ছে দুষ্কৃতকারীরা । পরে রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে টাকা , বাইকসহ অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা ।এ ধরনের ঘটনা আতংক বাড়ছে এলাকাবাসীর মধ্যে।তবে অনেকেই আশ্রয় নিচ্ছেন থানায়।
রবিবার রাতে রাঙ্গামাটিয়া পাহাড় অনন্ত পুর গ্রামের ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমান ও কৃষক জামাল উদ্দিনের বাড়িতে পানির সঙ্গে অচেতনানাশক ওষুধ মেশায়। জামালের বাড়ি থেকে এক লক্ষ এক হাজার নগদ টাকা, লাখ টাকার স্বর্গ অলংকার ও মোবাইল সেট নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। চেতনানাশক ওষুধ মিশ্রিত পানি খেয়ে ৪৫দিনের শিশু, নারী সহ ১৫জন অসুস্থ ওই দুই বাড়িতে। ৪৫ দিনের শিশু জারা ,জান্নাত( ৭),রাবিয়া(৭৫)তাছলীমা (৪)মোমীন(১০)তারভীর(১০)মফিজ উদ্দিন (৬০)জামাল উদ্দিন(৫০)আরোও অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েছে ।
ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমান জানান , অজ্ঞান করতে একটি বিশেষ ধরনের ওষুধ ব্যবহার করে দুষ্কৃতকারীরা।টিউবওয়েলের পানি খেয়ে আমরা অচেতন হয়ে পড়ি। আমার ৪৫দিনের শিশু মায়ের বুকের দুধ খেয়ে সেও্র আক্রান্ত হয়েছে।
জামাল উদ্দিন বলেন, আমরা পানির ট্যাংকিরর পানি খেয়ে বাড়ির সবাই অচেতন হয়ে পারি রাতে নগদটাকা,স্বর্গ অলংকার, মোবাইল সেটে নিয়ে গেছে।
পাহাড় অনন্ত পুর গ্রামের জালাল উদ্দীন বলেন,সম্প্রতি খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে তার বাড়ি থেকে দুইটি বাইক নিয়েছেন,পরে থানায় অভিযোগ করেছিলেন কোন কাজ হয়নি।
সেকান্দর আলী জানান , হাতিলেইট বাজারের কাছের একটি স্থান থেকে কিছুদিন আগে দুটি বাড়ী থেকে খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে নগদ টাকাসহ মালামাল নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা ।
এ বিষয়ে রাঙামাটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম চৌধুরী মুক্তা বলেন , ‘ আমি এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছি । আমাদের গ্রামপুলিশ দিয়ে খোঁজ – খবর নিচ্ছি । থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানিয়েছি।সামনে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ বিষয়ে কথা বলব ।
ফুলবাড়ীয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ জানান, বিষয়টি নিয়ে পুলিশের তদন্ত চলছে।