গাইবান্ধা-৫ আসনের উপনির্বাচনে কী কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে- তা স্পষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারদের ভাষ্যমতে ঢাকা থেকেই ৫১টি কেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। তারা (বন্ধ) করতে পারেন। কিন্তু ঢাকায় বসে, সাংবাদিকদের নিয়ে, ওখানকার গোপন বুথের যে ছবি এখান থেকে চোখে ধরা পড়েছে, তার ভিত্তিতে কেন্দ্র বন্ধ করা কতটা যৌক্তিক? কতটা বাস্তবসম্মত? কতটা আইনসঙ্গত? আমি বিনয়ের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনকে এ ব্যাপারে ভেবে দেখতে বলব।
বৃহস্পতিবার ঢাকা নগর পরিবহণ ২২ ও ২৬নং বাস রুট যাত্রাপথের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারদের লিখিত ভাষ্য আছে। শেষ পর্যন্ত যেসব কেন্দ্রগুলো নির্বাচন কমিশন ঢাকা থেকে বন্ধ করেনি, সেই সব ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসাররা প্রায় সবাই একবাক্যে বলেছে, ভোট সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা হয়নি। তারা রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে ভোট বন্ধ রেখেছেন। আমি যা বলেছি, সত্য কি না আপনারা যাচাই করে দেখবেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে- তা নিয়ে আমি প্রশ্ন করতে চাই না। তবে অতীতে কখনো এরকম নজিরবিহীন কিছু ঘটেছে বলে আমার জানা নাই। কী কারণে ভোটগ্রহণ বন্ধ করা হলো- তা আমাদের কাছে স্পস্ট নয়।
এ সময় সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে নির্বাচন কমিশন (ইসি) যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ওবায়দুল কাদের।