দীর্ঘদিন ধরে স্ত্রী সাবিনা আক্তার (২৫) মুঠোফোনে লুকিয়ে পরকীয়া প্রেম করে। বিষয়টি জানতে পেরে রাজমিস্ত্রি স্বামী মো: রুবেল (৩০) একাধিকবার বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্ত্রী ও শাশুড়ি সাজেদা বেগম রাজমিস্ত্রী রুবেলকে আটকে রেখে বেদম মারধর করে।
একপর্যায়ে রুবেল কৌশলে ওই বাড়ি থেকে বের হয়ে সদর হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেয়। বুধবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে (স্বামী) রুবেল লক্ষীপুর প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এসে সুবিচার পাওয়ার আশায় গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তাকে মারধরের ঘটনা বিস্তারিত জানান।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে লক্ষীপুর সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেয় রুবেল। ওইদিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উপজেলার চররমনী মোহন ইউনিয়নের (৩নং ওয়ার্ড) রারী বাড়ি (শ্বশুর বাড়িতে) এ হামলার শিকার হয়। একসময় তার কাছে থাকা দুইটি মোবাইল ফোন রেখে দেয় স্ত্রী। তবে রুবেলের শাশুড়ি সাজেদা বেগম নারী ইউপি সদস্য।
ভুক্তভোগী (স্বামী) রুবেল ঢাকা মেইলকে বলেন, আমাদের সংসারে ৮ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে আমি শ্বশুর বাড়িতে ঘর করে বসবাস করে আসছি। আমি পেশায় রাজমিস্ত্রি কাজ করি। এ সুবাদে সকালে কাজে গেলে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে হয়।
এরমধ্যে সারাদিন আমার স্ত্রী মোবাইলে বিভিন্ন বয়সী লোকজনের সঙ্গে কথাবার্তা বলে। বিষয়টি জানার পর আমি তাকে একাধিকবার নিষেধ করার পরও, সেই কথা বন্ধ করেনি।
অনেকের সাথে দেখা ও ঘুরতে গেছে। তবুও আমি আমার ভবিষ্যৎ কথা চিন্তা করে তার সকল অপকর্ম মেনে নিয়েছি। সর্বশেষ দুইদিন পূর্বে ফের তার পরকীয়া সম্পর্ক সরাসরি আমার তাহলে ধরা পড়ে। এনিয়ে রাগ অভিমান করে ওইবাড়ি থেকে চলে আসি। গতকাল (বুধবার) বিকেলে মেয়ের কথা বলে, আমাকে ডেকে নিয়ে আমার স্ত্রী সাবিনা ও শাশুড়ি সাজেদা বেগম আটক করে মারধর করে ও দুইটি মোবাইল রেখে দেয়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্ত্রী ও শ্বাশুড়ির বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
লক্ষীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।