ভারতের রাজস্থানের পোখরানে দেশটির বিমানবাহিনী বড় ধরনের মহড়া চালিয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে ভারত-পাক সীমান্তের কাছে ওই মহড়ায় বিভিন্ন ধরণের যুদ্ধবিমান ও অত্যাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। উপরমহলের কোনো নির্দেশ এলেই বিমানবাহিনী যাতে শক্তি প্রদর্শন করতে পারে, সেই জন্যই এই সামরিক মহড়া বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর প্রধান বি এস ধানোয়া কোনো ঘটনা বা কারো নাম উল্লেখ না করে বলেন, ‘যুদ্ধ মহড়ায় আমরা নিজেদের ক্ষমতা দেখিয়েছি। শত্রুদের বোঝা উচিত, আমাদের তারা কখনওই হারাতে পারবে না।’
শক্তিশালী ওই মহড়ায় লেজার প্রযুক্তির সাহায্যে বোমা নিক্ষেপ ও রকেট লঞ্চারের ব্যবহার করা হয়। এছাড়া মিগ-২১, মিগ-২৭, মিগ-২৯, মিরাজ ২০০০-সহ ১৪০টি যুদ্ধবিমান ও হেলিকপ্টার শক্তি প্রদর্শন করে। মহড়ায় এলসিএ তেজস, অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার, আকাশ (সারফেস টু এয়ার ক্ষেপণাস্ত্র), অ্যাস্ট্রা (এয়ার টু এয়ার মিসাইল) এবং সুখোই-৩০ বিমানও রণকৌশল প্রদর্শন করেছে।
এই প্রথম অ্যাডভান্সড লাইট হেলিকপ্টার, আকাশ (সারফেস টু এয়ার মিসাইল) সামরিক মহড়ায় অংশ নিয়েছে। জাগুয়ার, মিগ ২১ বাইসন, আইএল ৭৮, হারকিউলিস, এএন-৩২ বিমানও সামরিক মহড়ায় অংশ নেয়।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জম্মু-কাশ্মিরের পুলওয়ামার অবন্তিপুরায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ৪২ জন সিআরপিএফ জওয়ান নিহত হন। ওই ঘটনার পরে দেশজুড়ে প্রবলভাবে প্রতিশোধের দাবি ওঠায় এবং কেন্দ্রীয় সরকার দোষীদের কঠিন ফল ভোগ করতে হবে হুঁশিয়ারি দেয়ার মধ্যেই পোখরানের শক্তিশালী সামরিক মহড়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন