জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া কেন অবৈধ হবে না সে মর্মে একটি মামলার আপীল চলমান থাকার পরও চাকুরী নিশ্চিতকরণের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীর, এমনটিই অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মকতা কর্মচারীর নিয়োগ বিধি না থাকায় রেজিস্ট্রার পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে একাধিক অসঙ্গতি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে ২০১৭ সালের গেজেটের শর্ত অনুসরণ না করে রেজিস্ট্রার পদের বিজ্ঞপ্তি জারি এবং নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত কারন দর্শনের নোটিশ দেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান রেজিস্ট্রার পদে কৃষিবিদ ড. মো. হুমায়ুন কবীরকে নিয়োগ দেন।
একাধিক সূত্রে জানা যায়, ড. হুমায়ুন কবীর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার হিসাবে বিজ্ঞপ্তি প্রচার ও সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব হিসেবে নিজের নিয়োগ নিজেই চূড়ান্ত করেন এবং নিয়োগ বোর্ডে অংশ গ্রহনের দিনও তিনি রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করেন।
নিয়োগের শর্তানুসারে অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে চাকুরী মেয়াদ ১ বছর পূর্ণ হওয়ায় রেজিস্ট্রার হিসেবে চাকরি নিশ্চিতকরনের জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন। অপরদিকে, চাকরিবিধি অনুযায়ী কোনো পদের বিপরীতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায় তা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যস্ত চাকুরী নিশ্চিতকরনসহ কোন সুয়োগ সুবিধা ভোগ করতে পারেনা।
উল্লেখ্য, এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের এক প্রফেসরের বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকায় অদ্যাবধি তার চাকরি স্থায়ীকরণ হয়নি। এমনকি সাবেক রেজিস্ট্রারসহ আরো অনেকের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় নির্ধারিত সময়ে তাদের চাকরি নিশ্চিতকরণ করা হয়নি।
এ বিষয়ে ড. হুমায়ুন কবীর ময়মনসিংহ লাইভকে বলেন, আগে একটি মামলা হয়েছিল যা আদালত তার রায়ের মাধ্যমে নিষ্পতি করেছেন। তবে নতুন করে আপীলের বিষয়টি তিনি অবগত নন বলেও জানান।
এ বিষয়ে এডভোকেট পীযূষ কান্তি সরকার বলেন, মামলা চলমান থাকলে চাকরি নিশ্চিত কারণের কোন বিধান নেই। আগে মামলা নিষ্পত্তি হতে হবে।
উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, আমি যোগদানের আগে তিনি রেজিস্ট্রার হিসেবে যোগদান করেছেন এবং তার চাকরি নিশ্চিতকরণের বিষয়টি আইন অনুসারে বাস্তবায়ন করা হবে।