লক্ষীপুরে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আলাউদ্দিন পাটওয়ারী (৩৮) নামের এক যুবলীগ নেতা নিহত হয়েছে।
শুক্রবার(৩০ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের রশিদপুর পোদ্দার দিঘীর পাড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পূর্ব থেকে ঔঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। নিহত আলাউদ্দিন একই এলাকার হামিদ উল্যাহ পাটওয়ারী বাড়ীর সাদেক পাটওয়ারীর ছেলে ও বশিকপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি এবং সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাসেম জিহাদীর অনুসারী ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানায়, ঘটনার সময় যুবলীগ নেতা আলাউদ্দিন দিঘির পাশে মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। দুর্বৃত্তরা ওই সময় পাশের বাগানে অন্ধকারে ঔঁৎ পেতে ছিল। হঠাৎ তাকে লক্ষ্য করে এলাপাতাড়ী গুলি করে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার বুকে ও কানে গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজিসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।
নিহতের চাচা জামাল হোসেন ও ভাই বাবলু বলেন, সন্ত্রাসীরা তাকে এলোপাতাড়ী গুলি করে হত্যা করেছে। তার কানে ও পেটে গুলির চিহ্ন রয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জের ধরে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে অভিযোগ করেন তারা।
এদিকে ঘটনার পর খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, লক্ষীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন ও পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ । এসময় এমপি সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি’র সন্ত্রাসীরা এ হত্যাকান্ডে জড়িত, স্থানীয় বিএনপি নেতাদের গত কয়েকদিনের উস্কানি মূলক বক্তব্যে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। অবিলম্বে খুনিদের গ্রেফতার করে মৃত্যুদন্ড নিশ্চিত করার দাবী জানান আওয়ামীলীগের এ নেতা।
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, গুলিবিদ্ধ ও হত্যাকান্ডের ঘটনা শুনে তাৎক্ষনিক হাসপাতালে এসেছি, নিহতের শরীরের কিছু দাগের চিহ্ন রয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে, জড়িতদের ধরতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ দিকে এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি।