রাজনৈতিক দলের মিছিল-মিটিংসহ কোনো সমাবেশে নিরাপত্তার স্বার্থে পতাকা বেঁধে লাঠিসোটা বা দেশীয় অস্ত্র আনা যাবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এ কে এম হাফিজ আক্তার।
আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘লাঠিসোটা পুলিশসহ সাধারণ মানুষের জন্য হুমকিস্বরূপ।’
হাফিজ আক্তার বলেন, ‘ডিএমপির পক্ষ থেকে সব ডিসিকে বলা হয়েছে, কোনো সভা-সমাবেশে লাঠিসোটা ও পতাকা যেন আনা না হয়। কারণ কোথাও পড়ে গেলে জাতীয় পতাকার অবমাননা হয়। অন্যদিকে এগুলো থাকলে বড় ধরনের সংঘর্ষ বাধার সুযোগ থাকে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হচ্ছে, সভা-সমাবেশের জন্য অনুমতি চাইলেও ডিএমপি অনুমতি দেয় না। সংঘর্ষ হলে পুলিশ আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে পেটায়-এমন প্রশ্নের জবাবে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘এ ধরনের অভিযোগ আমরা পাইনি। আমরা রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক গ্রোগ্রামের অনুমতি দিচ্ছি। আমরা যদি মনে করি, ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে তাহলে লোকাল ডিসিরা মতামত দেয়। দেখা গেল, কোনো এক জায়গায় একাধিক সংস্থা বা দল সমাবেশ ও সভার অনুমতির আবেদন করল। তখন আমরা নাগরিক সুরক্ষার জন্য এর অনুমতি বা অনুমোদন দেই না।’
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘প্রায় সব প্রোগ্রামেই পুলিশের নীরবতা থাকে। তবে, দুই একটি ঘটনা ঘটেছে। প্রোগ্রাম কিন্তু প্রতিনিয়তই হচ্ছে।’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেন্দ্রিক সংঘাতের আশঙ্কা থাকছে কী না জানতে চাইলে এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘পুলিশের কাজই হচ্ছে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখা। আমরা চাই না, ঢাকা শহরের কোথাও সংঘাত-সংঘর্ষ হোক। সেটা নিয়েই পুলিশ কাজ করে থাকে।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে হাফিজ আক্তার বলেন, ‘আমরা দেখেছি, বেশ কয়েকটা জায়গাতেই লাঠিসোটা কেন্দ্রিক সমস্যা হচ্ছে। তাই লাঠিসোটা নেওয়া যাবে না। কারণ, কে কোন উদ্দেশ্য নিয়ে আসছে, তা তো বলা যায় না।’
হাফিজ বলেন, ‘এসব প্রোগ্রামে পুলিশ ফোর্সও থাকে। এ ছাড়া রাজনৈতিক কর্মসূচি বাদে অনেক সাধারণ মানুষও থাকেন, তাঁরা দিনরাত নানা কাজ করেন। তাঁদের নিরাপত্তার বিষয়টি তো থাকেই। তাদের কাজ যেন কোনোভাবে বাধাগ্রস্ত না হয়।’
‘রাজনৈতিক কর্মসূচিতে লাঠি আনার কোনো প্রয়োজন নেই’ উল্লেখ করে হাফিজ বলেন, ‘তারা সমাবেশ করবে, চলে যাবে। নিরাপত্তার স্বার্থে লাঠিসোটা নেওয়া যাবে না। এটা পুলিশের জন্য হুমকি স্বরূপ।’