নাতির বিরুদ্ধে নানাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১১টায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুরে উপজেলার রাজাবাড়ী ইউনিয়নের বড়চালা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মশাখালী এলাকা থেকে সালেককে আটক করা হয়েছে।
নিহতের নাম আব্দুল হক মাতবর (৮৮)। তিনি গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার বড়চালা গ্রামের বাসিন্দা। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে হারুন (৫৮) আহত হয়েছেন।
অভিযুক্তের নাম আবু সালেক (২৫)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও (পাগলা) থানার মহাখালী গ্রামের জামাল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, নিহত আব্দুল হক ও তার ছেলে হারুন মাদবর পাশাপাশি রুমে থাকতেন। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে হারুন মোটরসাইকেলে বাড়িতে এলে পেছন থেকে তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যান ভাগিনা সালেক। পরে পরিবারের লোকজন হারুনকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দিয়ে রাত ৩টার দিকে বাড়িতে নিয়ে আসে। পরে সকালে আব্দুল হককে ঘরে না পেয়ে খোঁজ করতে থাকে সবাই। একপর্যায়ে পাশের ঘরের মেঝেতে বস্তায় বৃদ্ধের লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তারা।
স্থানীয়দের ধারণা, রাতে নানার কাছে নেশার টাকা চেয়েছিলেন। টাকা না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তার নানাকে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে বস্তায় ঢেকে রেখে পালিয়েছেন।
শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মনির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পারিবারিক বিরোধের জেরে নানাকে পিটিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায় নাতি। পরে নাতীকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতকার করা হয়।