বগুড়া সদরের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সমর কুমার পালের মারপিটে আলমগীর হোসেন শেখ (৪৫) নামের এক নৈশ প্রহরী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন আছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এক্স-রে রিপোর্ট অনুযায়ী আলমগীরের বাম হাত ও দুটি আঙ্গুল ভেঙে গেছে।
বৃহস্পতিবার রাতে সদর উপজেলা ইউএনও অফিসে এ ঘটনা ঘটে। তবে ইউএনও মারপিটের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আলমগীর সদর উপজেলায় এলজিডি কার্যালয়ের নৈশ প্রহরী। তিনি সিরাজগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার চক শিয়ালকোল গ্রামের মৃত মেহের আলীর ছেলে। বর্তমানে তিনি বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জানা গেছে, আলমগীর সদর উপজেলা পরিষদের তিন তলায় সরকারি কোয়ার্টারে থাকেন। তার স্ত্রী সিরাজগঞ্জে থাকেন। কিন্তু তার স্ত্রীও তার সাথে বগুড়ায় থাকতে চান এবং দীর্ঘ দিন ধরে বাসা ভাড়া নিতে বলেন। এ নিয়ে তার স্ত্রী কয়েক দফা আলমগীরের বিরুদ্ধে এলজিডি কার্যালয়ে অভিযোগ দেন। এরপর আলমগীর তার স্ত্রীকে নিয়ে থাকার জন্য আলাদা রুম চেয়ে আবেদনও করেন। সর্বশেষ গত বুধবার ইউএনও সমর কুমার পালের কাছে আবারো অভিযোগ করেন আলমগীরের স্ত্রী। সেই অভিযোগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউএনও আলমগীরকে তার অফিসে ডাকেন। সেখানে দু’আনসারের সহায়তায় ইউএনও আলমগীরকে বেধড়ক মারধর ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তাকে অফিস থেকে এক অটোচালকের সহায়তায় উপজেলা পরিষদের বাইরে ফেলে আসেন দু’আনসার সদস্য।
আলমগীর বলেন, ‘আমাকে ইউএনও স্যার তার অফিসের অন্ধকার রুমে নিয়ে প্রথমে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। তারপর দু’আনসারের সহযোগিতায় আমাকে বেধড়ক মারেন। আমি বার বার ক্ষমা চাওয়ার পরও আমাকে তিনি পেটানো থামাননি। আমার হাত ও পা ভেঙে গেছে।’
আলমগীরের মেয়ে লোপা খাতুন বলেন, ‘বাবার বিরুদ্ধে আমার মা কোনো অভিযোগ দেননি। মিথ্যা অভিযোগে আমার বাবাকে মারধর করা হয়েছে।’
অভিযোগের বিষয়ে ইউএনও সমর কুমার পাল মোবাইলফোনে জানান, ‘আলমগীরকে মারপিটের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি একটি গাছের নিচে শুয়ে থেকে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন বলেও দাবি করেন ইউএনও।’