পল্লী চিকিৎসকদের অভিষেক অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে চিকিৎসকদের সাথে অসাধাচারণ ও দেখে নেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের নাম জয়নাল আবেদীন। তিনি সদর উপজেলার চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য ও একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক।
মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২ টার দিকে সদরের দাসের হাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
পল্লী চিকিৎসকরা জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১ টার দিকে সদরের দাসেরহাট বাজারে ১২, ১৩ ও ১৮নং ইউনিয়ন পল্লী চিকিৎসক সমিতির নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। গ্লোব ফার্মাসিটিক্যালস, রেনেটা ফার্মাসিটিক্যালস ও দাশেরহাট মেডিকেল সেন্টারের সৌজন্যে এ অনুষ্ঠানে সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন সমিতির কোষাধ্যক্ষ হাজী মোঃ সিরাজুল ইসলাম। এই অনুষ্ঠানে দাওয়াত না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয় ঐ ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা। এসময় ইউপি সদস্য রাগান্বিত হয়ে বলেন- আমি এডিসির সাথে মিটিংয়ে ছিলাম। আমারে দাওয়াত দিস নাই। তোদের এতো বড় সাহস। অনুষ্ঠান করলে আমার অনুমতি নিতে হবে। আমি যুবলীগের সেক্রেটারি বাদই দিলাম। কিন্তু আমি জনপ্রতিনিধি। এসময় এক চিকিৎসক বলেন- এটা রাজনৈতিক অনুষ্ঠান নয়। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ওই চিকিৎসককে মারতে তেড়ে যান অভিযুক্ত জয়নাল। এই সংক্রান্ত একটি ভিডিও এই প্রতিবেদকের কাছে এসে পৌঁছেছে।
অভিযোগ রয়েছে, ওই ইউপি সদস্য নিজেকে সাংবাদিক, ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের সামনে প্রেস লেখা রয়েছে।
১২, ১৩ ও ১৮ নং ইউনিয়ন পল্লী চিকিৎসক সমিতির সভাপতি হারাধন চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডাঃ আহাম্মদ কবীর। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা ড্রাগ সুপার সুশীল কুমার ঢালী, জেলা পল্লী চিকিৎসক সমিতির সভাপতি চন্দন চন্দ্র কুরী, সাধারণ সম্পাদক গোলাম আজম সোহাগ প্রমুখ। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ১২, ১৩ ও ১৮ নং ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক রাজিব মজুমদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম ইউছুপ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা জয়নাল আবেদীন বলেন- অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের কিছু বলিনি। আয়োজকদের বলেছি, আমাকে জানালেতো আমিও তাদের আপ্যায়ন করতে পারতাম। অনুষ্ঠান বন্ধ করতেও বলেনি।
চরশাহী, দিঘলী ও কুশাখালী ইউনিয়ন পল্লী চিকিৎসক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজীব মজুমদার বলেন- হঠাৎ পল্লী চিকিৎসকদের অভিষেকে এসে ইউপি সদস্য খারাপ আচরণ করেন। এঘটনা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করেন তিনি।
এবিষয়ে চরশাহী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম রাজু বলেন- বিষয়টি আমার জানা নেই। অনুষ্ঠানে ইউপি সদস্যের অনুমতি নিতে হবে, এমন কোন নির্দেশনা নেই।