৫৪তম বিশ্ব ইজতেমার চারদিন ব্যাপী আয়োজনের আজ রোববার তৃতীয় দিন চলছে। এবারের ইজতেমা দুই পর্বে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম দুইদিন ছিল মাওলানা সাদ বিরোধীদের। তাদের শীর্ষ মুরুব্বি মাওলানা জোবায়েরের অনুসারীদের পর্ব শনিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে।
আজ রোববার বাদ ফজর তাবলিগের মুরব্বি ভারতের মাওলানা ইকবাল হাফিজের আমবয়ানের মধ্যদিয়ে মাওলানা সাদ অনুসারীদের পরিচালনায় দুই দিনের ইজতেমা শুরু শুরু হয়। বয়ান বাংলায় তর্জমা করছেন বাংলাদেশের মাওলানা আবদুল্লাহ মুনসুর।
বয়ান চলাকালীন সকাল ৭টার দিকে টঙ্গীর ইজতেমাস্থল ও আশপাশের এলাকায় হঠাৎ করেই বৃষ্টি শুরু হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন ইজতেমায় যোগ দেওয়া মুসল্লিরা।
সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হওয়ায় ইজতেমা ময়দানে আগত মুসল্লিরা নিজে ও নিজেদের বিভিন্ন মালামাল বৃষ্টির পানি থেকে বাঁচাতে পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখতে দেখা গেছে। অনেকে আবার চটের সামিয়ানার নিচে পলিথিন টানিয়ে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছেন। ইজতেমায় আগত বয়স্করা বৃষ্টির কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এছাড়া আগত মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানের উন্মুক্ত স্থানেই সাধারণত রান্নাবান্না করে থাকেন। বৃষ্টির কারণে তাদের রান্না করতে ঝামেলায় পড়তে দেখা গেছে।
তবে মুসল্লিদের মধ্যে বৃষ্টি নিয়ে তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। তারা বিষয়টিকে স্বাভাবিক হিসেবেই নিয়েছেন। এই বৃষ্টিকে আল্লাহর রহমত বলেছেন বেশ কয়েকজন মুসল্লি।
বৃষ্টি হওয়ায় শীতও বেড়েছে। প্রচণ্ড শীতের মধ্যে মুসল্লিদের জবুথবু হয়ে বসে জিকির আজগার করতে দেখা গেছে।
এরআগে, শনিবার মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দান ত্যাগ করার পর ধীরে ধীরে ময়দানে প্রবেশ করতে থাকেন মাওলানা সাদ অনুসারী মুসল্লিরা। আজ সকালেও বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে তাদের আসতে দেখা যায়। কাল সোমবার আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে এবারের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা পরিসমাপ্তির কথা রয়েছে।
গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর জানান, ইজতেমা সমাপ্তির পর ইজতেমার সকল মালামাল প্রশাসনের হেফাজতে থাকবে। পরে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। মুসল্লিদের সার্বিক বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন খোঁজখবর রাখছে বলেও জানান তিনি।