শিগগিরই ময়মনসিংহ হাইওয়ে পুলিশকে দেখা যাবে নতুন চেহারায়। ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ ও মুক্তাগাছায় হতে যাচ্ছে হাইওয়ে পুলিশের নতুন থানা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হাইওয়ে পুলিশ বাহিনীর জন্য নতুন ৭২টি থানা স্থাপনের প্রক্রিয়াও এগিয়ে চলছে। শুধু তাই নয়, মাদারীপুরের শিবচরে একটি অত্যাধুনিক ট্রেনিং সেন্টার স্থাপন করা হচ্ছে। অপরদিকে, ময়মনসিংহ থেকে ঢাকা মহাসড়কের ১৭২ কিলোমিটার মহাসড়ককে ডিজিটাল মনিটরিং সিস্টেমের আওতায় নিতে মহাসড়কে বসানো হচ্ছে সিসিটিভি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ২২টি জেলায় হাইওয়ে পুলিশের কোনো স্থাপনা নেই। তবে নতুন তিনটি রিজিয়নের মাধ্যমে এসব জেলায় হাইওয়ে পুলিশের কার্যক্রম শুরুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে খুলনা, রংপুর ও ময়মনসিংহ রিজিয়ন অনুমোদন হয়েছে। এছাড়া নতুন ৭২টি থানার প্রস্তাব করা হয়েছে। থানাগুলো হলো-ময়মনসিংহের শম্বুগঞ্জ ও মুক্তাগাছা, জামালপুরের সরিষাবাড়ী, শেরপুরের গৌড়দ্বার, কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ, বাবরাং ও মহেশখালী হাইওয়ে থানা, রাঙামাটির সদর ও কাপ্তাই, খাগড়াছড়ি সদর ও দীঘিনালা, বান্দরবানের চিম্বুক ও নীলাচল, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ, চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, রাজশাহীর গোদাগাড়ী, নওগাঁর মান্দা, পত্নীতলা ও নওহাটা, বগুড়ার মহাস্থানগড় ও শেরপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট, জয়পুরহাটের কালাই, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর, রংপুরের কাউনিয়া, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী, লালমনিরহাটের আদিতমারী, দিনাজপুরের ফুলবাড়ী, সদর ও ঘোড়াঘাট, ঠাকুরগাঁও সদর, নীলফামারীর জলঢাকা, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জে কাঞ্চন, টাঙ্গাইলের নাগরপুর ও এলেঙ্গা, গাজীপুরের চন্দ্রা, নরসিংদীর ঘোড়াশাল, ফরিদপুরের মুন্সীবাজার, গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া ও ভাটিয়াপাড়া, শরীয়তপুরের জাজিরা, বাগেরহাটের মোল্লারহাট, খানজাহান আলী ও মোংলা, সাতক্ষীরা সদর, ঝিনাইদহের আরাপপুর, নড়াইলের লোহাগড়া, কুষ্টিয়ার গড়াই, চুয়াডাঙ্গার সদর ও দর্শনা, মেহেরপুর সদর, মাদারীপুরের মোস্তফাপুর, যশোরের খাজুরা, পিরোজপুর সদর, ঝালকাঠির গাবখান ও দপদপিয়া, ভোলার বাংলাবাজার ও চরফ্যাশন, পটুয়াখালীর পায়রা, লেবুখালী ও কুয়াকাটা, বরগুনার আমতলী, কিশোরগঞ্জের মিঠামইন, সিলেটের চারখাই, ফেঞ্চুগঞ্জ ও ভোলাগঞ্জ, হবিগঞ্জের মাধবপুর, মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সৈয়দাবাদ হাইওয়ে থানা। প্রতিটি থানা ভবন হবে ছয় তলা ভিতবিশিষ্ট চতুর্থ তলা ভবন। এ সংক্রান্ত প্রস্তাবটি এখন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বিবেচনাধীন।