জামালপুর র্যাব-১৪ এর অভিযানে ৩২ বছর পর হত্যা মামলার দণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি গ্রেফতার হয়েছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর আশুলিয়া পশ্চিমপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আজিজুল হক (৭২) জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার কোনামালঞ্চ গ্রামের মৃত শুকুর আলীর ছেলে। একই গ্রামের সুরুজ আলী হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি আজিজুল। হত্যার ঘটনার পর থেকেই ৩২ বছর আত্মগোপনে ছিলেন আজিজুল।
মেলান্দহ জামালপুর র্যাব-১৪ কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান জানান, ৩২ বছর আগে (১৯৯০ সালে) মেলান্দহ উপজেলার কোনামালঞ্চ এলাকার সুরুজ আলীর সঙ্গে ওই এলাকার মো.জাবেদ আলীর পারিবারিক দ্বন্দ্ব ছিল। সেই দ্বন্দ্বের একপর্যায়ে মারামারির ঘটনা ঘটে। সেই সময় আজিজুল হকের বাঁশের লাঠির আঘাতে সুরুজ আলী আহত হয়।
আহত সুরুজ আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত সুরুজ আলীর স্ত্রীর বড় ভাই ১৯৯০ সালের ১৭ অক্টোবর মেলান্দহ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই আসামি ছদ্মবেশ ধারণ করে দেশের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে থাকেন।
পরে আদালত মামলাটির রায়ে আসামি আজিজুল হককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এ ঘটনায় র্যাব সদস্যরা পলাতক আসামি আজিজুল হকের বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে তাকে চিহ্নিত করেন। জামালপুর র্যাবের সদস্যরা হত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামির অবস্থান শনাক্ত করে শনিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর আশুলিয়া বাইপাইল পশ্চিমপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
আশিকউজ্জামান জানান, রাতে আজিজুলকে মেলান্দহ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তিনি।