কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ.কে এম জাকির হোসেন বলেন, ‘মানুষ, প্রকৃতি, পরিবেশ এই তিনের সমন্বয়ে আমাদের পৃথিবী। একটি বাদ দিয়ে অন্যটি চিন্তা করা যায় না। কিন্তু শুধু বাসস্থান বানাতেই চলছে একের পর এক চলছে যুদ্ধ। রাস্তায়, ধানের ক্ষেতসহ নানা জায়গায় দেখা যায় কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ। ব্যবহার হচ্ছে অতিরিক্ত মাত্রায় কেমিক্যাল, ফার্টিলাইজার, কীটনাষকসহ নানা দূষণকারী পদার্থ। এতে আমাদের বসবাসের উপযোগী পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। তাই বন রক্ষায় সরকারি নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে এবং সেই অনুসারে পদক্ষেপ নিতে হবে।
বৃহস্পতিবার(৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল পাচঁটায় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিনি কনফারেন্স রুমে গ্রীন ভয়েস বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) শাখার বার্ষিক সাধারণ সভা ও দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
বক্তব্য তিনি আরোও বলেন, একটি দেশে ২৫ শতাংশ বন দরকার হলেও বস্তুত আছে ৮ থেকে ৯ ভাগ। এছাড়া লোকালয়সহ সারা দেশে বৃক্ষের পরিমাণ মাত্রাতিরিক্ত কম। এমতাবস্থায় পৃথিবীর স্বাভাবিক স্বাস্থ্য, তার পরিবেশ ও পৃথিবীর ইকো সিস্টেম আবার প্রফুল্ল করতে এবং ভবিষ্যত পৃথিবীকে সবুজ ছায়ায় পরিণত করতে গ্রীন ভয়েসের এই পদক্ষেপগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখবে। এছাড়াও পরিবেশ নীতিমালা মেনে চলাসহ পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সবাইকে আহ্বান করেন তিনি।
অনুষ্ঠান শেষে ‘যুবরাই লড়বে, সবুজ পৃথিবী গড়বে’ স্লোগানকে সামনে রেখে পরিবেশবাদী যুবদের সংগঠন ‘গ্রীন ভয়েস’ বাকৃবি শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। নতুন কমিটিতে সভাপতি হিসেবে হাফসা তাসনীম ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মো. বকুল আলীকে নির্বাচিত করা হয়।
গ্রীন ভয়েসের সভাপতি উসামা ইবান ওহীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. খান মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর কবির। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রাম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ.কে এম জাকির হোসেন। এছাড়াও বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।