বাকৃবিতে পশুপালন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

দেশের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‌’বিএসসি ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি’ নামের কম্বাইন্ড ডিগ্রি বাতিলের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পশুপালন ছাত্র সমিতির আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিলটি অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি পশুপালন অনুষদের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন অনুষদের করিডোর প্রদক্ষিণ করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

মিছিল পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় , খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হবিগঞ্জ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘বিএসসি ভেটেরিনারি সায়েন্স এন্ড এনিম্যাল হাজবেন্ড্রি’ নামের তথাকথিত কম্বাইন্ড ডিগ্রি প্রদান করা হচ্ছে। অপরদিকে বাকৃবি ও পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শুধু পশুপালন ডিগ্রিতে প্রাণির উৎপাদন সম্পর্কিত কোর্সে শতকরা যথাক্রমে ৭৬ দশমিক ৫৬ শতাংশ ও ৭১ দশমিক ৮ শতাংশ ক্রেডিট হারে পড়াশোনা করানো হয়ে থাকে। অন্যদিকে কম্বাইন্ড কোর্সে প্রাণি উৎপাদন সম্পর্কিত ক্রেডিটের হার মাত্র ৩০ দশমিক ৩২ শতাংশ। এছাড়াও উভয় কোর্স পর্যালোচনা করলে দেখা যায় যে, ভেটেরিনারি অনুষদে পশুপালন সাপ্লিমেন্টারি কোর্স হিসেবে দিয়ে অতি সামান্য পড়ানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা আরও বলেন , পোল্ট্রি খাতে বিশেষত ডিম ও ব্রয়লার উৎপাদনে বিপ্লব শুধুমাত্র পশুপালন গ্রাজুয়েটদেরই অবদান। এদেশে বিপুল জনগোষ্ঠির প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মেটানোর জন্য এবং বর্তমান সরকারের ঘোষিত ‘ভিশন-২০৪১’ এবং জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত এসডিজি বাস্তবায়নে পশুপালন গ্রাজুয়েটদের ভূমিকা অগ্রগণ্য।

পশুপালন ছাত্রসমিতির সহ-সভাপতি মো. রেজওয়ান উল আমিন বলেন, একই রকম কোর্স কারিকুলাম পড়ে একটা ডিগ্রির নাম কম্বাইন্ড ডিগ্রি আরেকটা ডিভিএম ডিগ্রি। আসলে দুইটা ডিগ্রি আলাদা কিছু নয় বরং দুইটাই ডিভিএম ডিগ্রি। সুতরাং লাইফস্টোকে উন্নতির পথ সুগম করতে কম্বাইন্ড ডিগ্রি বন্ধ করার পাশাপাশি প্রাণির উৎপাদনের জন্য জন্য পশুপালন ডিগ্রি আর ট্রিটমেন্টের জন্য ডিভিএম ডিগ্রি দেওয়া হোক।

Share this post

scroll to top