নেত্রকোনার কলমাকান্দায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইদ্রিস আলী ও শওকত মিয়া নামে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাত ৮টার দিকে খারনৈ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একটি সভা গোবিন্দপুর বাজারে চলছিল। এ সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে দাবি করেন খারনৈ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীন শেখ ও সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম সিদ্দিকুর রহমান।
তারা অভিযোগ করেন, বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাট গোবিন্দপুর বাজারে আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তারা আলোচনা করছিলেন। এ সময় বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশীয় অস্ত্রসহ লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় খারনৈ ইউনিয়নের যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজিম হোসেন লিমন, হাবিবুল্লাহ হক, দপ্তর সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, সদস্য রবি মিয়া, শফিকুল ইসলাম, ছাত্রলীগ নেতা শরিফ মিয়া, ওয়াসিম উদ্দিন, খারনৈ কৃষক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মানিক মিয়া, যুবলীগ নেতা নাজিম উদ্দিনসহ অন্তত ২০ জন নেতাকর্মী আহত হন।
স্থানীয়রা আহতদের মধ্যে ১০ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অন্যরা নিজ এলাকায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
এর মধ্যে শফিকুল ইসলাম, রবি মিয়া ও শরিফ মিয়া নামের তিনজনের অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জয়ত্রী দেবনাথ উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ বিষয়ে খারনৈ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমীন শেখ দাবি করেন, খারনৈ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শান্তিপূর্ণ আলোচনাসভায় ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ওবায়দুল হক এবং উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কলি আক্তারের নেতৃত্বে শতাধিক লোকজন অস্ত্রপাতি নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে তাদের ২০ নেতাকর্মীকে আহত করে।
কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক কলি আক্তার বলেন, গোবিন্দপুর বাজারে তার ভাইয়ের ছেলে ইব্রাহিম মিয়া ও স্থানীয় বিএনপি নেতা লতিফ মিয়ার দোকানে খারনৈ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে লুটপাট করে দলীয় নেতাকর্মীরা। পরে তারা বাউশাম বাজারে গিয়ে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ইউপি চেয়ারম্যানের অস্থায়ী কার্যালয়সহ ৪-৫টি দোকান ভাঙচুর করে লুটপাট করেছে। এ সময় তাদের চার নেতাকর্মী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে আহত হন।
তাদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে খারনৈ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম জানান, বিএনপির নেতাকর্মীরাই অহেতুক আমাদের শান্তিপূর্ণ আলোচনাসভায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে আমাদের অন্তত ২০ নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে। আর এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।