পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খান আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন আগাম জামিন পেয়েছেন। গতকাল সোমবার ইসলামাবাদ হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদনের পর তা মঞ্জুর করা হয়। এর আগে গত রোববার রাতে ইমরান খানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে এজহার দায়েরের পর পিটিআই আইনজীবী ফয়সাল চৌধুরী এবং বাবর আওয়ান সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে আবেদনটি দাখিল করেন। ডন ও এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
আবেদনে বলা হয়েছে, ইমরান খানের অতীতে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই এবং কখনো কোনো অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত হননি। মঙ্গলবার রাতে ইসলামাবাদের মারগালা থানায় দায়িত্বে থাকা ম্যাজিস্ট্রেট আলী জাভেদ পিটিআই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এজাহারটি দায়ের করেন। এতে বলা হয়, ইমরান খান তার বক্তৃতার মাধ্যমে জনগণের বিরুদ্ধে উত্তেজনা ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে দিয়েছেন। এজাহার দায়েরের পরই ইমরান খানকে যেকোনো মুহূর্তে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে গুঞ্জন ওঠে।
এ দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইমরান খানকে গ্রেফতারে পরোয়ানা জারির খবর ছড়িয়ে পড়লে রাজপথে নেমে আসেন পিটিআইয়ের নেতাকর্মীরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সম্ভাব্য গ্রেফতারের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী, হাম্মাদ আজহার, আসাদ উমর, মুরাদ সাঈদ, ওমর আইয়ুব পারভেজ খাট্টাকসহ হাজারো নেতাকর্মী ইমরান খানের বানিগালার বাসভবনে পৌঁছেছেন। ইমরান খানের গ্রেফতার ঠেকাতে তাঁরা সেখানে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।
অন্য দিকে ইমরান খান বর্তমানে কোথায় আছেন, এ নিয়ে ধোঁয়াশার সৃষ্টি হলেও পিটিআই নেতা ফয়সাল ভাওদা বলেন, ইমরান খান এখনো বানিগালা বাসভবনেই অবস্থান করছেন। উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা ইমরান খানকে গ্রেফতার করতে আসেননি, শুধু আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য এসেছেন। এপ্রিলে পার্লামেন্টের এক অনাস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান ইমরান। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের বর্তমান সরকার ও সেনাবাহিনীর কঠোর সমালোচনা শুরু করেন তিনি। এবার দেশটির সরকার ও ইমরানের মধ্যে চলা তীব্র উত্তেজনার মধ্যে তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করা হলো।