বরগুনায় শোক দিবসের আলোচনা সভা শেষে শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে জেলা ছাত্রলীগ কর্মীদের লাঠিপেটা ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ। প্রতিবেদনে ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের সুপারিশ করা হয়েছে।
সোমবার বিকেলে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি এস এম আখতারুজ্জামান।
এ সময় তিনি জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে সাবেক বরগুনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহরম আলীসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
একটি সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ব্যতিত বাকিদের মধ্যে একজন পুলিশ পরিদর্শক, তিনজন উপ-পুলিশ পরিদর্শক, চারজন সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক ও চারজন নায়েক কনেস্টাবল রয়েছে বলে গোপন সূত্রে জানা যায়। তবে চূড়ান্তভাবে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে এ সূত্রটি।
উল্লেখ্য, গত মাসের ২৪ জুলাই জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই থেকে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়ে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহের সোমবার (১৫ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে শোক দিবসের আলোচনা সভায় যোগ দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য অ্যাড. ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানসহ জেলা পর্যায়ের নেতারা। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল কবীর রেজা, সাধারণ সম্পাদক তৌশিকুর রহমান ইমরান ও জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি সবুজ মোল্লা তাদের কর্মী ও সমর্থকরা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এলে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা-ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশের গাড়িও ভাঙচুর করে ছাত্রলীগের কর্মীরা। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠি চার্জ করে পুলিশ। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হয়।
এ ঘটনায় গত সপ্তাহের মঙ্গলবার আলোচিত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীকে বরগুনার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে প্রথমে বরিশাল রেঞ্জে ডিআইজি কার্যালয়ে নিযুক্ত করা হয়। ওই দিনই অন্য আদেশে তাকে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি করা হয়। এরপর রাতে ওই ঘটনায় আরো পাঁচ পুলিশের সদস্যকে বদলি করা হয়।