মুকুটে আরেকটি পালক লাগালেন লিওনেল মেসি। ৩১ বছর বয়সেও নিত্যনতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। তারই নতুন এক মাইলফলক গড়লেন তিনি। তিনি শনিবার মওসুমের ৩০তম গোল করেছেন। আর তার গোলেই লা লিগায় বার্সেলেনা জিতেছে রিয়াল ভাইয়াদলিদের বিরুদ্ধে। এর মাধ্যমে তিনি শীর্ষ ৫ ইউরোপিয়ান লিগে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ৩০ বা ৩০-এর বেশি গোল করলেন। অবিশ্বাস্যভাবে মেসি এখন সব প্রতিযোগিতায় বার্সেলোনার হয়ে তার গত ১১ মওসুমের প্রতিটিতেই ৩০ বা এর বেশি গোল করলেন।
কাম্প নউয়ে শনিবার রাতে ১-০ গোলে জেতে বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়নরা। দ্বিতীয়ার্ধে মেসি ও লুইস সুয়ারেস অনেকগুলো সুযোগ নষ্ট না করলে ব্যবধান বাড়তে পারতো। রেফারির সঙ্গে তর্ক করে হলুদ কার্ড দেখা বার্সেলোনা অধিনায়ক শেষ দিকে পেনাল্টি থেকেও গোল করতে ব্যর্থ হন।
লিগে ভালেন্সিয়া ও আথলেতিক বিলবাওয়ের সঙ্গে ড্র করা দুটি ম্যাচের মাঝে গত ৬ ফেব্রুয়ারি কোপা দেল রে সেমি-ফাইনালের প্রথম লেগে রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে ১-১ ড্র করেছিল বার্সেলোনা।
কক্ষপথে ফেরার লক্ষ্যে মাঠে নামা বার্সেলোনার প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স মোটেও আশানুরূপ ছিল না। উল্টো বেশ কয়েকবার তাদের রক্ষণে ভীতি ছড়ায় অতিথিরা।
তবে ৪৩তম মিনিটে মেসির স্পট কিকে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় স্বাগতিকরা। রেফারির পেনাল্টির সিদ্ধান্তটি নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন উঠতে পারে। ভিডিও রিপ্লেতে দেখা যায়, তার কাঁধে হাত ঠিকই ছিল ভাইয়াদলিদের মিডফিল্ডার মিচেলের, তবে যেন খুব সহজেই পড়ে যান জেরার্দ পিকে। প্রতিবাদ জানায় অতিথি খেলোয়াড়রা; তবে ভিএআরের সাহায্য নেননি রেফারি।
আসরে এই নিয়ে সর্বোচ্চ ২২ গোল করলেন মেসি। চলতি মৌসুমে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে তার গোল হলো ৩০টি। টানা ১১ মৌসুমে কমপক্ষে ৩০টি করে গোল করার কীর্তি গড়লেন আর্জেন্টাইন তারকা।
দ্বিতীয়ার্ধে প্রথম ১০ মিনিটে সহজ তিনটি সুযোগ হারায় বার্সেলোনা। ৪৮তম মিনিটে আট গজ দূর থেকে মেসির ভলি রুখে দেন গোলরক্ষক। তিন মিনিট পর পেনাল্টি স্পটের কাছ থেকে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। কিছুক্ষণ পর গোলরক্ষককে একা পেয়ে শট নিতেই পারেননি কেভিন-প্রিন্স বোয়াটেং।
৬৫তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েছিলেন খানিক আগে বোয়াটেংয়ের বদলি নামা সুয়ারেসও। কিন্তু তার শট এগিয়ে এসে রুখে দেন জর্দি মাসিপ।
দেম্বেলের বদলি নামা ফিলিপে কৌতিনিয়ো ৮৪তম মিনিটে ডি-বক্সে ফাউলের শিকার হলে আবারও পেনাল্টি পায় বার্সেলোনা। কিন্তু এ যাত্রায় মেসির স্পট কিক ঠেকিয়ে দেন ম্যাচ জুড়ে দুর্দান্ত খেলা গোলরক্ষক মাসিপ।
বাকি সময়ে উরুগুয়ের স্ট্রাইকার সুয়ারেস আরও দুইবার ডি-বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে ব্যর্থ হলে ব্যবধান আর বাড়েনি।
২৪ ম্যাচে ১৬ জয় ও ছয় ড্রয়ে শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার পয়েন্ট ৫৪।
দিনের অন্য ম্যাচে রায়ো ভাইয়েকানোর মাঠে ১-০ গোলে জেতা আতলেতিকো মাদ্রিদ ৪৭ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে।
এক ম্যাচ কম খেলা রিয়াল মাদ্রিদ ৪৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে নেমে গেছে।