শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে নিজ ঘরে সিঁধ কেটে ঢুকে ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় আজ মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে স্বামী জাহের আলী, শ্বাশুড়ী জাহানারা বেগম ও ননদ আমেনা বেগমকে আটক করেছে থানা পুলিশ। গতকাল সোমবার (১৫ আগস্ট) দিবাগত রাতে উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের বড় গোল্লারপাড় গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় এক বছর আগে উপজেলার দক্ষিণ রানীগাঁও গ্রামের শামছুল হকের কন্যা শাহনাজ পারভীন (৪২) এর সাথে বাড়ির কাছাকাছি বড় গোল্লারপাড় গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে ডাব বিক্রেতা জাহের আলীর (৩০) বিয়ে হয়। এর আগে জাহের আলী প্রথম বিয়ে করলে এক ছেলে রেখে দু’জনের তালাক হয়। আবার শাহনাজ এর তিন সন্তান রেখে পরপর দুইটি বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে। ফলে জাহের-শাহনাজ এর এ সংসার ছিল দ্বিতীয়-তৃতীয়। বিয়ের পর থেকেই নানা কারনে সংসারে বনিবনা ছিল না তাদের। শাহনাজ এক সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে শ্বাশুুড়ি-ননদের সাথে থাকলেও স্বামী জাহের আলী জামালপুরে ডাবের ব্যবসা করতেন।
সোমবার দিবাগত রাতে শাহনাজ তার চার বছর বয়সী কন্যাকে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। গভীর রাতে স্বামী জাহের আলী নিজ ঘরের সিঁঁধ কেটে প্রবেশ করে এবং ওড়না পেচিয়ে ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সকালে বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করে সাড়া না পেয়ে দরজা খুলে শাহনাজের মরদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। পরে খবর পেয়ে স্বামীসহ অন্যান্য স্বজন এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এসময় পুলিশ সন্দেহজনকভাবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামী জাহের আলীসহ শ্বাশুড়ী জাহানারা বেগম ও ননদ আমেনা বেগমকে আটক করে।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, নিহতের লাশ উদ্ধারের পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্তের জন্য শেরপুর জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্বামীসহ তিনজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারী পুলিশ সুপার নালিতাবাড়ী সার্কেল আফরোজা নাজনীন।