লক্ষীপুর জজ আদালত প্রাঙ্গণে দিনে দুপুরে প্রকাশ্যে শতশত লোকের সামনে হাজিরা দিতে আসা বিবাদীদের উপর হামলা চালিয়ে একই পরিবারের ২ নারীসহ ৪ জনকে মারধর করেছে এক আইনজীবী ও কয়েকজন।
সোমবার (৮ আগস্ট) সকাল আনুমানিক ১০ টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে।
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সৈয়দ ফখরুল আলম নাহিদসহ তার ৮-১০ জন সহকর্মী এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হামলায় আহতরা হলেন মোহাম্মদ উল্লাহ (৬০), তার স্ত্রী আফরোজা বেগম (৫০), মেয়ে মাহিয়া আক্তার (২২) ও ছেলে আব্বাস হোসেন (২৮)। তারা রামগতি উপজেলার পশ্চিম চর কলাকোপা গ্রামের বাসিন্দা। কোর্ট পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে এজলাসে নিয়ে যান। এসময় ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিকদের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন আইনজীবী আরীফুন নবী চৌধুরী রাসেল।
আইনজীবী নাহিদ জেলা কৃষকদলের সাবেক সদস্য সচিব ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও লক্ষীপুর আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ্যাড: সৈয়দ মোহাম্মদ শামছুল আলমের ছেলে।
আহতরা জানায়, আইনজীবী নাহিদদের সঙ্গে তাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে। নাহিদদের দায়েরকৃত একটি মামলায় তারা সোমবার সকালে আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। এসময় পূর্ব প্রস্ততি হিসেবে নাহিদ তাদের জর্জ আদালতের প্রাঙ্গণে শত শত সামনে সামনে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি ও লাথি মারতে মারতে রাস্তায় পাশে নিয়ে আসে।
এসময় আহতরা চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। পরে শতশত মানুষ জড়ো হতে থাকলে থানা ও কোর্ট পুলিশ এগিয়ে আসে। হামলায় এসময় আহতরা মাটিতে শুয়ে পড়ে বলে প্রত্যদর্ক্ষীরা জানিয়েছে।
অভিযোগের ব্যাপারে ফখরুল আলম নাহিদ এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
লক্ষীপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি নুরুল হুদা পাটওয়ার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ঘঠনারস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।
প্রসঙ্গত, গেল ১১ জুন সন্ধ্যায় চর কলাকোপা গ্রামে জমি সক্রান্ত বিরোধের সালিসি বৈঠকে প্রতিপক্ষের লোকজন আইনজীবী নাহিদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। পরে ওই ঘটনায় তিনি মামলা দায়ের করেন ওই মামলায় আহত সবাই বিবাদী।