মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বলেন, চীন দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ করছে। নিম্নকক্ষের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সাম্প্রতিক তাইওয়ান সফরের কারণে ক্ষুব্ধ চীন।
পেলোসি তাইওয়ান প্রস্থানের পর থেকে দ্বীপটি ঘিরে লাগাতার মহড়া চালাচ্ছে বেইজিং। শুধু তাই নয়, আটটি খাতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া চুক্তিতেও পড়েছে এর প্রভাব।
প্রতিরক্ষা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, জলবায়ুসহ বিভিন্ন বিষয়ক চুক্তি বাতিল বা স্থগিত করে দিয়েছে দেশটি। এমন বিরূপ আচরণের নিন্দা জানাতেই শনিবার ফিলিপিনসের রাজধানী ম্যানিলায় একটি সম্মেলনে বক্তব্য দেন ব্লিঙ্কেন।
তিনি বলেন, ‘চীনের চুক্তিগুলো বাতিলের সিদ্ধান্ত শুধু যুক্তরাষ্ট্রকে নয়, শাস্তি পাবে পুরো বিশ্ব। বিভিন্ন সামরিক চ্যানেলের মধ্যে স্থাপন হতে পারে ভুল যোগাযোগ। সেখান থেকে হতে পারে দুর্ঘটনা।’ তিনি আরও বলেন, ‘জলবায়ু সহযোগিতা স্থগিতকরণ শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ক্ষতি করবে পুরো বিশ্বের। বিশেষ করে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে। দুই দেশের চিন্তার ভিন্নমতের কারণে বিশ্বকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এমন চুক্তিকে জিম্মি করার কোনো মানে হয় না।’
চীনের সঙ্গে যোগাযোগ চলমান রাখার কথাও জানান তিনি। কোনো ধরনের ভুল বোঝাবঝি থেকে বিরত থাকতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ব্লিঙ্কেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র মনে করে না তাইওয়ানের সঙ্গে থাকা সম্পর্ক আমাদের জাতীয় স্বার্থের ক্ষতি করছে। চীনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগের মাধ্যম খোলা রাখব।’
অপর দিকে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘চীনের ব্যাপারে মিথ্যা বলছে ব্লিঙ্কেন। যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করতে চাই আমরা। বেপরোয়াভাবে কাজ করবেন না। আরও বড় সমস্যা তৈরি করবেন না।’
এদিকে পেলোসিকে ‘বিশ্ব শান্তি লংঘনকারী’ আখ্যা দিয়েছে উত্তর কোরিয়া।