দেশের চলমান মেগা প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের মূল যন্ত্রাংশ নিয়ে মোংলা বন্দরে ভিড়েছে লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী জাহাজ এমভি ড্রাগনবল। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর এটি রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের পণ্যের চালানের রাশিয়ার দ্বিতীয় জাহাজ।
রাশিয়া থেকে ছেড়ে আসা এ জাহাজটি শুক্রবার (৫ আগস্ট) বিকেলে মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের হাড়বাড়িয়ার ৭ নম্বর বয়ায় ভিড়েছে। জাহাজটির গভীরতা বেশি হওয়ায় শুক্রবার সেখানে রেখে কিছু পণ্য খালাস করা হবে।
জাহাজটি কিছুটা হালকা হলে শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেলে বন্দরের ৯ নম্বর জেটিতে আনা হবে। জেটিতে আনার পর সন্ধ্যার দিকে জাহাজ থেকে পুনরায় পণ্য খালাসের কাজ শুরু হবে।
জাহাজটির স্থানীয় শিপিং এজেন্ট ইন্টার পোর্টের খুলনা অফিসের জেনারেল ম্যানেজার অসিম কুমার সাহা বলেন, গত ৬ জুলাই রাশিয়া থেকে ছেড়ে আসা এ জাহাজটির মোংলা বন্দরে পৌঁছাতে প্রায় ৩০ দিন সময় লেগেছে। জাহাজের গভীরতা বেশি থাকায় সরাসরি বন্দর জেটিতে ভিড়তে পারছে না। তাই হাড়বাড়িয়ার ৭ নম্বর বয়ায় রেখে কিছু পণ্য খালাস করে তারপর জেটিতে আনা হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখরউদ্দীন বলেন, জাহাজটিতে দুই হাজার ৮৬২টি প্যাকেজে গুরুত্বপূর্ণ মেশিনারি যন্ত্রপাতি এসেছে। এসব পণ্যের ওজন প্রায় পাঁচ হাজার ৬০১ মেট্রিক টন। খালাসের পর এসব যন্ত্রাংশ সড়কপথে ট্রাক ও লরিতে করে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালামাল আমদানি, খালাস ও পরিবহনের ক্ষেত্রে এক নবযুগের সূচনার সাক্ষী হয়ে থাকবে মোংলা বন্দর।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগে সর্বশেষ ২০২১ সালের ১৮ অক্টোবর রাশিয়া থেকে এমভি ফেসকো আলিশ রূপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রের মালামাল নিয়ে এসেছিল। তারপর যুদ্ধ শুরু হলে সাড়ে ৯ মাস পর ১ আগস্ট প্রথম রাশিয়ান জাহাজ এমভি কামিল্লা আসে এ বন্দরে। তার চার দিনের মাথায় রাশিয়া থেকে রূপপুরের মালামাল নিয়ে এলো এমভি ড্রাগনবল।